কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছিল তিন ফুটফুটে শিশুকে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছিল তারা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির দরবারে তাঁদের অধিকার আদায়ে অবিরাম লড়ে গেছেন। তবু কেন্দ্রের মন গলেনি। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও মানবিক মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বাংলার বাড়ি’র তহবিল নিয়ে দাঁড়ালেন ওই পরিবারের পাশে। সন্তানহারা তিন পিতার হাতে তুলে দিলেন বাংলার বাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল। ভিডিওতে তুলে ধরা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের লড়াই ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিকতার কথা।
আরও পড়ুন- ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যু!
মঙ্গলবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১২ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা দেওয়ার ছাড়পত্র দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সেই তালিকায় তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো নাম রয়েছে বিষ্ণুপুর থানার বোড়ামারা গ্রামের সন্তানহারা তিন পিতা জয়দেব সর্দার, প্রশান্ত সর্দার ও চণ্ডি সর্দারের। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর থানার বোড়ামারা গ্রামে একটি মাটির বাড়ির দেওয়ালের পাশে খেলা করছিল তিন শিশু রোহন সর্দার(৫), নিশা সর্দার (৪) ও অঙ্কুশ সর্দার(৩)। টানা বৃষ্টিতে আচমকা মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিন শিশুর। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পরিবারের পাশে দাঁড়ান তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দিল্লিতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়-সহ একাধিক দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চলছিল ধর্না কর্মসূচি। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বাঁকুড়া থেকে দিল্লির ধরনামঞ্চে সামিল হন সন্তানহারা অভিভাবকেরাও। তাঁদের কাতর আর্জি শোনেনি মোদি সরকার। বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন তাঁদের ঘরর পাকা ছাদ করে দেবেন। বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, বোড়ামারায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত তিন শিশুর পিতাদের নাম বাংলার বাড়ির প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হল।