গোয়া: গোয়ার (goa fire) নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার ২৪ বছরের যুবক সুভাষ ছেত্রী। বাড়ি বাগডোগরায়। অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৫ জনের মধ্যে ২০ জনই ওই ক্লাবের কর্মী। সুভাষ দু’বছর আগে শেফ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন নাইট ক্লাবে। বাকি পাঁচজন নাইট ক্লাবে আসা অতিথি ছিলেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। আগুনে ঝলসে মৃত কর্মীদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন কর্নাটক, দিল্লির। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, নেপালের বাসিন্দা মোট ৯ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারজন দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। এই ঘটনার জন্য নাইট ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না নাইট ক্লাব চালানোর জন্য। ফলে বেআইনিভাবেই নাইট ক্লাবটি চলছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, আরপোরার ওই নৈশক্লাব থেকে বার হওয়ার জন্য ছিল মাত্র দু’টি দরজা। আগুন (goa fire) লেগেছে দেখার পরেই সেখানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। শনিবার রাতে যখন আগুন লাগে, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০০ জন অতিথি। এই ঘটনায় তিনজন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে ক্লাবের মালিকের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত দফতরের পরিচালক সিদ্ধি তুষার হারলঙ্কর, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য-সচিব ড. শামিলা মনতেইরো এবং আরপোরা-নাগোয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব রঘুবীর বাগকর, এই তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালে ‘বির্চ বাই রোমিও লেনে’ নামে ওই নাইট ক্লাবটির অনুমোদনের ক্ষেত্রে তাঁরা সঠিক নিয়ম মানেননি। পুলিশ ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রোশন রেদকরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-শেয়ার বাজারে দু’মাসে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হল সোমবার

