আবাস যোজনায় ত্রিস্তর নজরদারি

Must read

প্রতিবেদন : নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার (PM Awas Yojana- Bengal) বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে রাজ্য সরকার তৃণমূলস্তরেও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে আবাস বন্ধু, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন, আশাকর্মীদের এই নজরদারির কাজে ব্যবহার করা হবে বলে পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে জানা গেছে। তাঁরা নিজেদের এলাকায় প্রতি সপ্তাহে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির অগ্রগতির ওপর নজর রাখবেন। এজন্য তাঁদের উৎসাহ ভাতা এবং পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সাপ্তাহিক অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ব্লক ও মহকুমা স্তরে ১৫ দিন অন্তর ওই প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক তাঁর জেলার প্রকল্পের অগ্রগতি বিবেচনা করবেন বলে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক ভাবে পঞ্চায়েত সচিব আবাস যোজনার কাজের ওপর নজর রাখবেন।

আরও পড়ুন-পানীয় জল, রাস্তাঘাটের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ লাভ জিহাদের ইস্যু

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas Yojana- Bengal) প্রকল্পের আওতায় আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে ১১ লক্ষের বেশি পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে।৩১ মার্চের মধ্যে ওই প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে বলে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলার জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। কিভাবে ওই লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করা যাবে তার পথ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে বাড়ি তৈরির অনুমোদন মেলার চল্লিশ দিনের মধ্যে জালনা পর্যন্ত গাঁথনির কাজ শেষ করতে হবে। তার আরও ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। এর ১৫ দিন পর বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করার পর সরকারি সমীক্ষক দল ওই বাড়ি পরিদর্শন করতে যাবেন বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কোচবিহারে সর্বোচ্চে ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি পরিবারকে বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সেখানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার বাড়ি বানানোর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আবাস যোজনায় গত মাস পর্যন্ত আবেদন সংগ্রহ করেছে সরকার। সেই সব আবেদন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনের পর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়েছে। মুখ্যসচিব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ তথা বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যেই। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Latest article