কলকাতার ট্যাংরার ঘটনার কিনারার মাঝেই এবার কোচিতে (Kochi) একই পরিবারের তিন সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় দেশজুড়ে। খুন না আত্মহত্যা, সেই নিয়ে পুলিশ এখনও ধন্দে। কোচির ইয়াচামুক্কু এলাকায় বন্ধ ঘর থেকে এক কেন্দ্রীয় আবগারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তা, তাঁর মা এবং বোনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তিন জনই আত্মহত্যা করেছেন। মৃত আবগারি দফতরের কর্তা ঝা়ড়খণ্ডের রাঁচীর বাসিন্দা। যদিও কর্মসূত্রে পরিবারকে নিয়ে থাকতেন কোচিতে। কমপক্ষে তিন চার দিন আগে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ঘরের মধ্যেই পড়েছিল দেহগুলি।
আরও পড়ুন-মোদীরাজ্যে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত অন্তত সাত
সূত্রের খবর, মৃত আবগারি দফতরের কর্তা কিছুদিনের ছুটিতে ছিলেন। তবে ছুটির সময় পেরিয়ে গেলেও কাজে যোগ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় সহকর্মীদের। বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেন নি তিনি। পরে সহকর্মীরা কোয়ার্টারে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ায় তাদের সন্দেহ বাড়ে। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে অফিসার এবং তাঁর বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশের ঘরের বিছানায় মৃত অবস্থায় অফিসারের বৃদ্ধা মা পড়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন-”বাংলা ভাষার গুরুত্ব চিরকাল ছিল, থাকবে”, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহজনক কিছু পায়নি। প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা হলেও মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।