সংবাদদাতা, সিউড়ি : শুক্রবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থানা এলাকার ম্যানেজার পাড়ায় ঘরের ভিতর দুই ছেলেমেয়ে-সহ এক আদিবাসী গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। আর ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তিন খুনের কিনারা করে ফেলল বীরভূম জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, মৃতা গৃহবধূর আত্মীয় মাতাল মার্ডির অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে। অতিদ্রুততার সঙ্গে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরাগ ঘোষ ও ডিএসপি ডিএনটি অয়ন সাধুর নেতৃত্বে রামপুরহাট থানার আইসি অরূপ দত্ত ও মল্লারপুর থানার ওসি রাজকুমার দাস-সহ মোট আটজনের তদন্ত দল গড়ে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তানদের খুনিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। সরাসরি খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নয়ন বিত্তারকে।
আরও পড়ুন-বন্দি বাঘ : মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা তুলে দিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা
অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সুনীল মির্ধা। পুলিশ সুপার জানান, নয়ন বিত্তারের সঙ্গে মৃতা গৃহবধূ লক্ষ্মী মার্ডির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গতকাল রাত দশটা নাগাদ নয়ন তাঁর বাড়িতে গিয়ে দুই বাচ্চা-সহ তাঁকে খুন করে পালায়। ওই মহিলার ফোনটিও নিয়ে যায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য। ইতিমধ্যে খুনে অভিযুক্ত নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনও উদ্ধার করা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আরও দু’জনকে আটক করেছে। তদন্তে তাদের সঙ্গে খুনের সংযোগ পাওয়া গেলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। আজ, শনিবার ধৃতদের সিউড়ি আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়ে সেই অস্ত্র উদ্ধার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, লক্ষ্মী মার্ডি (২৫) এবং তাঁর দুই সন্তান রূপালি মার্ডি (১০) ও অভিজিৎ মার্ডিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ভিতরের ঘরে খাটিয়ার উপর লক্ষ্মী মার্ডির (২৫) মৃতদেহ পড়ে ছিল। মেয়ে রূপালির (১০) দেহ ছিল কম্বলে জড়ানো। খাটিয়ার নিচে পড়ে ছিল ছেলে অভিজিতের দেহ। তিনজনের মাথাতেই ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিবেশীরাই তিনজনের মৃতদেহ চোখে পড়ায় থানায় খবর দেন। মৃত গৃহবধূর শ্বশুর মাতাল ভিতরে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে লালু কর্মসূত্রে বর্ধমানে থাকেন।