সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে গত কয়েকদিনের লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। জলস্তর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা-সহ একাধিক নদীতে। ফলে নদী সংলগ্ন ও নিচু এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার একাধিক এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। বহু মানুষকে বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। ভুটান পাহাড়েও ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরের নদীগুলোতে জল বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গে তিনদিনের সফরে এলেন সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া।
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১২, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, শোকপ্রকাশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বুধবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রথমেই মাটিগাড়ার বালাসন নদী সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান। বললেন, উত্তরবঙ্গ একা নয়, মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছে। সিকিমে বন্যাপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সেবকের তিস্তাবাজার থেকে শুরু করে মহানন্দার জলস্ফীতি, তিস্তা সংলগ্ন এলাকাবাসীর সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে আজই আলিপুরদুয়ার পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান তিনি। ভুটানের জলে প্লাবিত হচ্ছে বাংলা। মোকাবিলায় পাঁচটি রেইন গেজ স্টেশন ছাড়াও আরও ৫৫টি রেইন গেজ স্টেশন নির্মাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ভুটান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। মন্ত্রী জানান, ইন্দো-ভুটান জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির বৈঠকের কথা হয়েছিল, কেন্দ্র উদাসীন। ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গঠনের জন্য রাজ্য সরকার গত বছরেও কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে উত্থাপন করেছিল, কেন্দ্র গা করেনি।
জলস্ফীতি, বন্যারোধ, বৃষ্টিপাত, নদীবাঁধ ভাঙন নিয়ে একটি কোর কমিটি গঠিত হল আজ। মানস ছাড়াও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, সাবিনা ইয়াসমিন, বুলু চিক বড়াইক, গুলাম রব্বানি, অমিত জৈন প্রমুখ ছিলেন।
আগামী তিনদিন মানস দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসন, সেচ আধিকারিক ও জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। পাশাপাশি, বন্যাকবলিত এলাকাও ঘুরে দেখে সরকারি পরিষেবা, ত্রাণবণ্টন ও উদ্ধারকাজের অগ্রগতি দেখবেন।