নাগপুরের (Nagpur) গোরেওয়াড়া প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে চারটি বাঘকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাদের চিকিৎসা চলছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে চন্দ্রপুরে বেশ কিছু ঘটনার পর আহত অবস্থায় বাঘগুলিকে উদ্ধার করে গোরেওয়াড়ায় নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-ভেঙে পড়ল উপকূলরক্ষী বাহিনীর কপ্টার, মৃত ৩
সম্প্রতি জানা গিয়েছে নাগপুরের প্রাণী উদ্ধারকেন্দ্রে তিনটি বাঘ এবং একটি চিতাবাঘের মৃত্যুর কারণ বার্ড ফ্লু। প্রথম থেকেই এদের মৃত্যু নিয়েই সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছিল। বাঘগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বাঘগুলির মৃত্যু হয়েছে বার্ড ফ্লু-য়ে আক্রান্ত হয়ে।
আরও পড়ুন-গেরুয়া রাজ্যে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার একই পরিবারের চার জনের মরদেহ
২০ ডিসেম্বর প্রথমে একটি বাঘের মৃত্যু হয়। ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় আরও দু’টি বাঘের। এরপরেই ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজ়িজ়েস (নিশাদ)-এ নমুনা পাঠানো হয়। তার মধ্যে আরও একটি চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। গত ১ জানুয়ারি রিপোর্ট আসে। সেখানেই বলা হয় বার্ড ফ্লু-য়ে আক্রান্ত হয়েছিল প্রাণীগুলি। কিন্তু কী ভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হল বাঘগুলি, সেই নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে। ওই উদ্ধারকেন্দ্রে ২৬টি চিতাবাঘ এবং ১২টি বাঘ রয়েছে। এরপর সব প্রাণীরই নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। ৩৮টি বাঘই সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। এমন এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মহারাষ্ট্র জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রাণীগুলিকে খাবার হিসাবে যে মাংস দেওয়া হয়েছিল সেগুলি থেকে সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।