বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার: একে অসাধ্যসাধনই বলা ঠিক। যেখানে চা-শ্রমিকের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেই চা-শ্রমিকের ঘর থেকেই একজন নয়, দু’জন নয়, একেবারে তিনজন একসঙ্গে নিট পরীক্ষায় পাশ করে ডাক্তার হতে চলেছেন। আলিপুরদুয়ার জেলার ভুটান সীমান্ত লাগোয়া ব্লক কালচিনির ভাটপাড়ার রিতা লামা, বুকেনবাড়ির নিধি লামা মেচপাড়া চা-বাগানের শোয়নম লামা— এই তিন কন্যাই জীবনের প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে অসাধ্যসাধন করেছেন।
আরও পড়ুন-জেলায় জেলায় নারীশক্তি, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন সদস্যরা
এক সময়ের উত্তরের রমরমিয়ে চলা চা-শিল্প অনেকদিন আগেই রুগ্ণ শিল্পের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আর চা-শ্রমিকদের অবস্থা তো তথৈবচ। বাম আমলে উত্তরের চা-শিল্প রাজ্য সরকারের কাছে ছিল দুয়োরানির মতো। চা-শ্রমিকদের জন্য নানান প্রকল্পের ডালি নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এখন চা-বাগানে কেউ অনাহারে থাকে না। রাজ্যসভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, আমি চা-বাগানের মানুষ, চা-বাগানের মেয়েরা সফল হয়েছে, এর চেয়ে খুশির খবর আর হতে পারে না।