সংবাদদাতা, কুলতলি : অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস কুলতলিতে। বন দফতরের পাতা ফাঁদে পা দিল দক্ষিণরায়। ভোররাতে খাঁচাবন্দি হয় বনকর্মীদের উপর হামলাকারী বাঘ। রাত ৩টা ৩২ মিনিট নাগাদ কুলতলির মৈপীঠের সবজিখেতে বন দফতরের খাঁচায় ধরা পড়েছে সেই বাঘ। ৩৬ ঘণ্টার আতঙ্কের সমাপ্তিতে স্বস্তি ফিরেছে মৈপীঠে। সোমবার রাতে সবজিখেতে ছাগলের টোপ দিয়ে দুটি ফাঁদ পাতা হয়। তাতেই পা দেয় বাঘটি। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর মঙ্গলবারই বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ১৩ নামী সংস্থার ৫.২৫ কোটির লেটার্স অফ ইনটেন্ট স্বাক্ষর
রবিবার রাত থেকেই কুলতলির মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা। বাঘটি যাতে কোনওভাবে গ্রামের মধ্যে ঢুকতে না পারে, তার জন্য নগেনাবাদ ৯ নম্বর মুলার জেটিঘাটের কাছে গ্রামের দিক বরাবর নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। গ্রামে না ঢুকতে পারলেও সারারাত নাইলনের জালের আশপাশেই ঘোরাফেরা করে দক্ষিণরায়।
আরও পড়ুন-ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৭৪.৫১৪ কিমি অরক্ষিত, দেবের প্রশ্নে সংসদে ব্যর্থতা স্বীকার কেন্দ্রের
তারপরই বাঘটিকে বন্দি করার পরিকল্পনা করা হয়। সোমবার স্থানীয় টাইগার টিমের সদস্যেরা বাঘ ধরতে গেলে বনকর্মী গণেশ শ্যামলের উপর বাঘটি হামলা চালায়। সহকর্মীকে বাঁচাতে দলের বাকিরা লাঠি দিয়ে বাঘটিকে আঘাত করেন। তাতেই বনকর্মীকে ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে বাঘটি। আহত বনকর্মী কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, মঙ্গলবার ভোররাতে বাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।