ব্যুরো রিপোর্ট : রাতের অন্ধকার কেটে সবে আলো ফুটেছে। কাজে বেরিয়েছেন গ্রামবাসীরা। জমির আল ধরে হেঁটে যাওয়ার সময়ই থমকে গেল ব্যস্ত পা-গুলো। হইচই পড়ে গেল গ্রামজুড়ে। কাজে যাওয়া তো দূরস্ত্ একপ্রকার গৃহবন্দি হল গোটা গ্রাম। বুধবার মাথাভাঙ্গা ১-এর জোরপটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জমির ওপর হালকা ভেজা মাটিতে স্পষ্ট অজানা বাঘের (Tiger) পায়ের ছাপ। অনেকে আবার একটি চিতাবাঘকে এলাকাতে দেখেছেন। এই নিয়ে গোটা গ্রামজুড়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মাথাভাঙা বনবিভাগের রেঞ্জার সজল পাল। তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করেন। যেখানে পায়ের ছাপটি দেখা গিয়েছে ওই জমিতে যান। পায়ের ছাপগুলি দেখে তিনি জানিয়েছেন, এইগুলি অন্য কোনও জন্তুরও পায়ের ছাপ হতে পারে। এলাকাটিতে পাহারায় বসেছেন বনকর্মীরা। চারদিকে জালও পাতা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এলাকায় ঢুকে পড়ে একটি চিতাবাঘ। একটি বাড়ির শৌচালয়ের সামনে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। ওই বাঘ (Tiger) ধরতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয় বনকর্মীদের। এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এ-ছাড়াও জলপাইগুড়িতে গাছের মগডালেও উঠে পড়ে চিতাবাঘ। তা নিয়েও দিনভর চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে, গাছ কেটে বাঘকে নামাতে গেলে তার ঘুম ভেঙে ঘটে বিপত্তি। পরে বহুক্ষণের চেষ্টায় সেই চিতাবাঘ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘সরকার কখনো চায় না তার রাজ্যে কোনরকম হত্যাকাণ্ড ঘটুক’ রাজ্যপালকে নিশানা মমতার