প্রতিবেদন: দিন কয়েকে আগে ভোররাতে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে ৫ বছরের ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নেকড়ে। সকালে আখের খেতে পাওয়া যায় শিশুটির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। ঘটনাটি যোগীরাজ্যের বহরাইচ জেলার। এখানে হিংস্র নেকড়ের আক্রমণের শিকার হয়েছে ৬ শিশুসহ ৭ জন। এবারে যোগীরাজ্যেরই লখিমপুর খেরি জেলায় বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে প্রায় ৫০টি গ্রাম। সম্প্রতি এখানে বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪ জন। জখমের সংখ্যাও কম নয়। বাঘের আতঙ্কে রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র লাগোয়া প্রায় ৫০টি গ্রাম।
আরও পড়ুন- চিকিৎসকরা পাশে নেই, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রোগীর পরিবার
কয়েকদিন আগে গরুর খাবার আনতে বাইরে বেরিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের রাজেশ কুমার। আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। টেনে নিয়ে যায় তাঁকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে পরের দিন কাছেই আখের খেতে পাওয়া যায় রাজেশের আধখাওয়া দেহ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি শুধুমাত্র জুলাই থেকে এখনও পর্যন্ত বাঘের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। বহারাইচ এবং লখিমপুর খেরি- দু’টি জায়গারই আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন উত্তরপ্রদেশের যোগীপ্রশাসনের দিকে। তাঁদের ক্ষোভের কারণ, হিংস্র বন্যজন্তুদের আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। প্রশ্ন উঠেছে লখিমপুর খেরির মানুষখেকো বাঘটিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না কেন বনদফতর?
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুধওয়া ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে এখন বাঘের সংখ্যা ১৬০। খেয়ালখুশিমতো প্রায়ই লোকালয়ে হানা দেয় বাঘ। আর বহরাইচে মানুষখেকো ৬টি নেকড়ের দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গত দেড়মাস ধরে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অভিজ্ঞ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ২২টি দল গড়েছে বনদফতর। বাঘ আর নেকড়ের সন্ধানে ওড়ানো হচ্ছে ড্রোন। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে নাইট ভিশনস সহ অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জামের। কিন্তু বনদফতরের আশ্বাসে মোটেই ভরসা রাখতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটাই কথা, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। রাতের খবর, ধরা পড়েছে একটি মানুষখেকো নেকড়ে।