প্রতিবেদন : অবশেষে গোসাঁইডিহিতে খাঁচাবন্দি হল জিনাত (Tigress Zeenat)। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করা হয় বাঘিনিকে। শনিবারও তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হয়েছিল কিন্তু দুটি গুলি লাগলেও কাবু হয়নি জিনাত। অবশেষে সাতদিন পর বাঘবন্দি খেলা শেষ হল। তিন জেলা ঘুরে বাঁকুড়ায় খাঁচাবন্দি হল জিনাত। রবিবারই জিনাতকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখানে পশু হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডও। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ ও তাদের বন দফতরের গাফিলতির জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের রাজ্যের বন দফতরের আধিকারিক-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে খাঁচাবন্দি করেছে জিনাতকে। সিমলিপালের তরফে জিনাতকে (Tigress Zeenat) ফেরত চাওয়া হয়েছে। আমরা তাকে ফিরিয়ে দেব, তবে তার আগে জিনাতের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। গত সাতদিনে যথেষ্ট ধকলের মধ্য দিয়ে গিয়েছে সে। সবটা খতিয়ে দেখে সম্পূর্ণ সুস্থ করে আমরা জিনাতকে ফিরিয়ে দেব। এবং যথাযথ প্রোটোকল ও পেপার-ওয়ার্ক করেই ফেরানো হবে জিনাতকে। আপাতত চিকিৎসকদের নজরদারিতেই থাকবে জিনাত।
আরও পড়ুন- প্রশাসনিক জনসভা থেকে পরিষেবা প্রদান, আজ সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রী
শনিবার দুপুর ৩টেয় ও রাতে দু’বার ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয়। এরপর আজ, রবিবার চতুর্থবার বিকেল ৩.৫৮ মিনিটে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়া হয়। অবশেষে নিস্তেজ হয় এবং কাবু করা হয় জিনাতকে। বন দফতরের তরফে ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই সমস্তরকম অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দুপুর থেকে ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় বন দফতরের কর্মীদের মধ্যে।
শনিবার দুটো করে নেট দিয়ে জঙ্গল ঘেরা ছিল। ঘটনাস্থলে বাঁকুড়া পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি এবং পদস্থ আধিকারিক ও বন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সকলে এসে পৌঁছন এবং সিদ্ধান্ত হয় সেখানে দুটো নেটের কারণে যদি কোনও সমস্যা হয় কারণ গতকাল থেকেই জিনাত কিছুটা বিরক্ত ও রেগে আছে সেই জন্য যাতে ঘেরাটোপ ছেড়ে না বেরিয়ে যেতে পারে তার জন্য আরও উঁচুতে একটি নেট লাগানো হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর জিনাতকে সিমলিপাল রিজার্ভ ফরেস্টে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।