ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনি বাঁকুড়ার জঙ্গলে বনদফতরের হাতে, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তিন বছরের জ়িনতকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে আনা হয়েছিল।

Must read

আজ রবিবার দুপুরে ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনি বাঁকুড়ার (Bankura) জঙ্গলে ধরা পড়ল। শনিবার থেকে তাকে লক্ষ্য করে একাধিকবার ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। রাতভর জ়িনতকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করলেও কিছুতেই বনকর্মীরা সুবিধা করতে পারছিলেন না। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফের জ়িনতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়েন বনকর্মীরা। সেই গুলি বাঘিনির গায়ে লাগে । তাতেই কাবু হয় সে।

আরও পড়ুন-গুরুদোংমার যাওয়ার ছাড়পত্র সিকিমের

১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তিন বছরের জ়িনতকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে আনা হয়েছিল। যথেষ্ট পর্যবেক্ষণের পরে রেডিয়ো কলার পরিয়ে ২৪ নভেম্বর তাকে সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল। এর পরেই ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যায় জ়িনত। এরপর চাকুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসার জঙ্গল পেরিয়ে চিয়াবান্ধি এলাকা থেকে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত কাটুচুয়া জঙ্গলে ঢুকে পৌঁছে যায় পুরুলিয়ার জঙ্গলে। শনিবার সকালে পৌঁছয় গোঁসাইডিহি গ্রামে। বাঘিনির গলায় থাকা রেডিয়ো কলার সিগন্যাল ট্র্যাক করে সেখানে পৌঁছে যান বনকর্মীরা। মুকুটমণিপুর জলাধার লাগোয়া ছোট জঙ্গলে ছিল জ়িনত।

আরও পড়ুন-অবশেষে বন দফতরের হাতে বাঘিনি জ়িনত

এই মর্মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও সহ বনদফতরের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দিয়ে লেখেন, ”জিনাতকে সফলভাবে উদ্ধার করায় পশ্চিমবঙ্গের বন কর্মকর্তাদের আমার তরফ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই অসাধারণ প্রচেষ্টায় তাদের অমূল্য সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পঞ্চায়েত কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। প্রথম থেকেই এই উদ্ধারকার্য একটি টিমওয়ার্ক এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি দায়বদ্ধতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত। আপনাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা শুধুমাত্র একটি নিজের স্থান থেকে সরে যাওয়া প্রাণীকে রক্ষা করেনি এমন কি আমাদের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়টিকেও অনেকাংশে শক্তিশালী করেছে। আপনাদের এই অসামান্য কাজের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!”

 

Latest article