প্রতিবেদন : ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত হল তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার, সকালে তৃণমূল সাংসদরা স্বাধীনতা দিবস পালন করেন। এরপর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন ও লোকসভার সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সাথরুমে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন :দেশে বিভেদের বিষ ছড়াতেই ‘দেশভাগ দিবসে’র ডাক: কুণাল ঘোষ
অভিযোগ, ফেরার পথে থাইরুম অঞ্চলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের গাড়ি ঘিরে ফেলে বাঁশ-লাঠি-সাইকেল দিয়ে গাড়ির উপর আক্রমণ চলায়। তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। দোলা সেনকে বাঁচাতে গিয়ে মাথা ফাটে তাঁর আপ্তসহায়কের। অপরূপা পোদ্দারকে হেনস্থা করা হয়। তাঁর মোবাইল-ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আরেক তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ।
তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় এসডিপিও গিয়ে ওই দুই সাংসদকে উদ্ধার করে আগরতলায় নিয়ে যাচ্ছেন। ফেরার পথে বিনুরিয়ায় আবার তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে থান ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন দোলা সেন। গাড়ির সমস্ত কাচ সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। আতঙ্কে চালক গাড়ি চালাতে রাজি হচ্ছেন না। দোলা সেন অভিযোগ করেন, তাঁদের উপর আক্রমণের সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ কোনওরকম বাধা দেয়নি।
আরও পড়ুন : খেলা হবে, জিতবে ত্রিপুরা: বল পায়ে বোঝালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব
ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র বিপন্ন। এই অভিযোগ তুলে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন সংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রথম যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যান, তখনই বিজেপির তরফ থেকে তাঁর গাড়িতে বাঁশ দিয়ে হামলা চালানো হয়। সেই ভিডিও নিজেই পোস্ট করেছিলেন অভিষেক। এরপরে তৃণমূলের যুব নেতৃত্ব- দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তের উপর হামলা চালানো হয়। ফের তৃণমূলের সাংসদরা আক্রান্ত হলেন ত্রিপুরায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সে রাজ্যের যত তৃণমূলের ভিত শক্ত হচ্ছে, ততই তাদের ওপর আক্রমণ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির।