প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবারও তৃণমূল-সহ (Parliament- TMC) বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হল সংসদের ভেতর ও বাইরে। তুলোধুনা করা হল মোদি সরকারকে। বিজেপির বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ এবং ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল। স্লোগান উঠল এসআইআর বাপস লো, মোদি সরকার ডাউন ডাউন। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানালেন, বাঙালি ও বাংলাভাষার উপরে আক্রমণ করছে বিজেপি৷ এটা আমরা মানবো না৷ বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, এটা যেন কেউ ভুলে না যায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা বিজেপির চক্রান্ত রুখবো৷ লড়ে নেবো এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। এদিকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের (Parliament- TMC) দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিহারের পরে এসআইআরের পরবর্তী লক্ষ বাংলা। কারণ ২০২৬ সালেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই জন্য আমাদের প্রথম দাবি এসআইআর নিয়ে সংসদে আলোচনা। মোদি সরকারকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, গুয়াহাটি থেকে, ওড়িশা থেকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে বাঙালিদের বাঙালিদের৷ গুজরাটের কোনও লোক স্বাধীনতা আন্দোলন করেনি৷ ওরা নাথুরাম গডসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যদি ভেবে থাকেন এই ভাবে বাঙালিদের ভয় দেখানো যাবে, তাহলে ভুল ভাবছেন উনি৷ ভাষা সন্ত্রাস ও এসআইআর, বৃহস্পতিবার দুটো ইস্যুতেই অনড় থেকে তৃণমূল ১১টি নোটিশ দিয়েছে। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সামিরুল ইসলাম। এর মধ্যে ৫টি নোটিশ বাঙলা ভাষা সন্ত্রাস,বাঙালিদের উপর হামলা এবং নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে। সব নোটিশ খারিজ করে দেয় কেন্দ্র। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন প্রশ্ন তোলেন, এই ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের ভোট পেয়েই তো প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালে তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷ তাহলে উনি এখন পদত্যাগ করছেন না কেন? এদিকে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের প্রতিবাদে বিহার বিধানসভার ভোট বয়কট করা হয়ে পারে বলে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর মন্তব্য, এমন এক পেশে পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচনের কোনও অর্থ হয় না। এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ৫৬ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে।
আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান: সংসদে কেন্দ্রকে চেপে ধরল তৃণমূল