এই কেন্দ্রে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শাসক দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হলেন তিনি। তাই শুধুমাত্র উপনির্বাচন হলেও লক্ষ্য রেকর্ড মার্জিনে জয়।
এই ক্ষেত্রে কোনও আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার প্রচারে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। আগামিকাল, বুধবার বিকেলে চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে প্রথম কর্মীসভা রয়েছে তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পর্যায়ে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। অহীন্দ্র মঞ্চ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বার্তা দেবেন ।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে প্রার্থী নিয়ে আবারও রাজ্য বিজেপিকে কটাক্ষ তথাগতর
মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড ভোটে জেতানোর চ্যালেঞ্জ এবার থাকছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তারকা প্রচারকদের তালিকাও এর মধ্যেই প্রস্তুত। উপনির্বাচনে সাধারণত বড় অংশের ভোটারের বুথমুখী হতে অনীহা থাকে। এই অবস্থায় জয় নিশ্চিত হলেও, সব মানুষ যাতে ভোট দিতে যান, সেই চেষ্টাই মূল লক্ষ্য শাসক দলের। তৃণমূল সূত্রে খবর, শীর্ষ নেতাদের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত কলকাতা পুরসভার ৮টি ওয়ার্ড ভাগ করে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে । সব ওয়ার্ড থেকে বিশাল অঙ্কের লিড নিতে উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস।
ভবানীপুর বিধানসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ড দেখবেন। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দেখবেন ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড। বড় ব্যবধানে জিতেলও একুশের নির্বাচনে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৭৫০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই ওয়ার্ডের এই অবস্থার কারণ খতিয়ে দেখছে তৃণমূলের অন্দরমহল। এবার মুখ্যমন্ত্রী ভোটে ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লিড নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক শিবির। ৭০ নম্বর ওয়ার্ড দেখবেন রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড দেখবেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মেসিদের নিয়ম ভাঙায় পয়েন্ট কাটা যেতে পারে নেইমারদের
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৫ হাজারের বেশি ভোটে। ২০২১-এর ভোটে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২৮ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে ছিলেন। এবারের উপনির্বাচনে সেই জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের। উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর থেকেই ‘‘ঘরের মেয়ে’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভবানীপুরের অলিগলিতে প্রচার শুরু হয়েছে। হোর্ডিং, ফেস্টুন, ব্যানারে এর মধ্যেই ঢেকে গিয়েছে ভবানীপুর। দেওয়াল লিখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
শুধু শাসক দল বা তাদের শাখা সংগঠন নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে আসরে নেমেছে এলাকার বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন ও ক্লাব।