একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে আইএসএফকে সামনে রেখে যে ভয়ঙ্কর আঁতাতের খেলা খেলেছিল বাম, কংগ্রেস, বিজেপি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই। এই ইস্যুতেই এবার নওশাদ-সহ বিরোধীদের একযোগে নিশানা করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। স্পষ্ট ভাষায় আক্রমন শানিয়ে জানানো হয়, “বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে কিছু মানুষকে ভুল বোঝানোর জন্য এই আইএসএফ (ISF) গঠিত হয়েছে। আর এই জোট হচ্ছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের সুবিধাবাদী জোট।
শনিবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ইস্যুতে সরব হয় তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “একুশের ভোটের সময় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের পিএকে চিঠি পাঠাচ্ছেন রাজ্যের অফিসার বদলের জন্য। এই চ্যাট সত্যি হলে তাহলে আইএসএফ বিজেপির হাতের তামাক খাচ্ছেন, ভোট কাটার নোংরা খেলা খেলছেন নওশাদ। কিছু মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। উনি মুখ খুলুন। এই চ্যাট ঠিক না ভুল, যদি ভুল হয় আপনি মামলা করুন।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “কীভাবে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছিল শাসকদলে থাকা বিজেপি। তাঁর প্রমাণ হচ্ছে বদলির সুপারিশ বিজয়বর্গীয়র কাছে যাচ্ছে নওশাদ সিদ্দিকির মাধ্যমে এবং বদলি হয়ে যাচ্ছে। ভোট পর্ব মিটলে তৃণমূল সুপ্রিমকোর্টে যাবে। এই ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: ৫০ জনের টিম গড়ে রাজ্যে পঞ্চায়েতের প্রচার, বৈঠকে সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
এর পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকির একটি ভিডিও তুলে ধরা হয় তৃণমূলের তরফে যেখানে আব্বাসকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমরা যারা বিজেপিকে পছন্দ করি তাঁরা টিএমসিকে (TMC) ভোট দিয়ে কি করব।” ভিডিও তুলে ধরে কুণাল বলেন, “এটা সেই সময়ের ভিডিও যখন নওশাদ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে সময় চাইছেন কথা বলার। নিত্যানন্দ রাইয়ের পিএ-র কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন অফিসারদের বদলি করার জন্য। তৃণমূল বিরোধী, বাংলা বিরোধী, গোপন আঁতাত এবং চক্রান্তের অভিযোগ করছি।” একইসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ ও বিজেপির। এদের কাউকে ভোট দেওয়ার অর্থ বিজেপিকে ভোট দেওয়া। আমি বাংলার মানুষের কাছে অনুরোধ করব এদের ভোট দিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দেবেন না। তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বাংলার হাত শক্ত করুন।” বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও আক্রমণ শানিয়ে কল্যাণ বলেন, “অধীর চৌধুরী হলেন সবচেয়ে বাংলার বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট। উনি শুভেন্দু অধিকারির পা ধরে মুর্শিদাবাদে জিততে চান।”