প্রতিবেদন : দশদিন পেরিয়ে গেল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের এখনও কোনও উত্তর দেওয়ার হিম্মত হল না বিজেপির। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কড়া ভাষায় বিজেপিকে একের পর তোপ দাগলেন দুই প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ও ডাঃ শান্তনু সেন। কুণাল বলেন, একশো দিন থেকে আবাস যোজনা। গত তিন বছরে কেন্দ্র নাকি এই খাতে রাজ্যকে টাকা দিয়েছে। কিছু বিজেপি নেতা এসব বলার চেষ্টা করছেন। তাঁদের খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আমাদের নেতা তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হয় শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক, নাহলে খোলাখুলি বিতর্কে আসুক। সামনে আসুক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। সব প্রমাণ হয়ে যাবে গত তিন বছরে কেন্দ্র কত টাকা দিয়েছে। কিন্তু ১০ দিন পেরিয়ে গেল, অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার হিম্মত দেখাতে পারল না বিজেপি। এই তো অবস্থা! ভোট ঘোষণা হয়ে গেল, এখনও রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না তারা। কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও মোদির গ্যারান্টিকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল (TMC)। একদিকে যখন দেশে বেকারত্ব বাড়ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় বেকারত্বের হার কমছে। এখানেও ডাহা ফেল মোদির গ্যারান্টি। তথ্য তুলে ধরে কুণাল বলেন, ২০১৪ সালে বলেছিল, বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। তাহলে ১০ বছরে ২০ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় কী? চাকরি তো হয়ই-নি, উল্টে বেড়েছে কর্মহীনের সংখ্যা। প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ’১৪ থেকে ’২৩ সাল এই ৯ বছরে চাকরি হয়েছে মাত্র ১.২০ কোটি। যা প্রতিশ্রুতির ৫ শতাংশেরও কম। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪৫ শতাংশ। ২৫-এর নিচে স্নাতকদের মধ্যে বেকার ৪২ শতাংশ। যা দেশে বেকারত্বের সর্বকালীন রেকর্ড। এটাই মোদির গ্যারান্টি! উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় এই সময়ে বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের ঠিক উল্টো। বেকারত্ব কমছে। এটাই তৃণমূলের গ্যারান্টি। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এদিন বিজেপিকে তোপ দাগে তৃণমূল। কুণাল বলেন, ইলেকশন বন্ডের আইম বিজেপি এনেছে। দেশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র রাজনীতিক যিনি বহুদিন ধরে বলে আসছেন স্টেট ফান্ডিংয়েই হোক নির্বাচন। তাহলে আর্থিকভাবে দুর্বলরাও ভোট লড়তে পারতেন। কিন্তু বিজেপি বন্ড নিয়ে এসেছে। তৃণমূল সেই নিয়ম মেনেছে। বিজেপির কাছে এজেন্সি আছে। তারা তাই দিয়ে হুমকির মাধ্যমে বন্ড কিনেছে শোনা যায়। তৃণমূলের হাতে সিবিআই ইডি নেই। তৃণমূল জানতও না কারা টাকা দিচ্ছে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী বন্ডে শুধু কোড লেখা থাকে। সেই দিনগুলোয় আমাদের ড্রপবক্স থাকত। তাতে কেউ দিয়ে যেতেন। এখানে দলের তরফে অস্বচ্ছ কিছু নেই।