প্রতিবেদন: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে যে ঘটনা ঘটল, সেটা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। গদ্দারের নেতৃত্বে যাঁরা এটা ঘটালেন তাঁরা তো সবাই বিজেপির লোক। তাহলে তাঁরা এখানে কেন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের তো দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা উচিত। এভাবেই এদিন বিজেপিকে পাল্টা দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ একের পর এক যুক্তি ও তথ্য তুলে ধরে গদ্দারের এই রাজনৈতিক দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস করে দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক যুক্তি সাজিয়ে কুণাল বলেন—
পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছে নীতিগতভাবে এবং রীতিগতভাবে বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা করবে রাজ্য সরকার তাকেই সমর্থন করবে।
বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের সামনে এই ঘটনা পুরোপুরি দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।
আজ যাঁরা এই কাজ করলেন তাঁরা তো সবাই বিজেপির লোক। তাহলে তাঁরা এখানে কেন গোলমাল করছেন? তাঁদের তো দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার কথা বলা উচিত। তা না করে তাঁরা এখানে গন্ডগোল পাকিয়ে সস্তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন।
এখানে গোলমাল করলে পুলিশ তো আটকাবেই। কারণ, ওটা অন্য দেশের দূতাবাস। সেখানে কোনও ঘটনা ঘটে গেলে তার পুরো দায়টা এসে পড়বে রাজ্য সরকারের ওপর। তাঁরা আসলে এটাই চাইছিলেন।
তবে তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, তাঁরা যত এসব করবেন, ততই এটা প্রমাণিত হবে যে কেন্দ্রীয় সরকার গোটা ঘটনায় বাংলাদেশকে কোনও কড়া বার্তা দিতে পারছে না।
গদ্দারের চক্রান্ত ও নাটক যুক্তি দিয়ে ওড়াল তৃণমূল

