প্রতিবেদন : ১০ বছরে ডাহা ফেল মোদি সরকার। তথ্য তুলে ধরে মোদি সরকারের হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল তৃণমূল। বুধবারের পর ফের পাঁচ ইস্যুতে মোদি সরকারের জিরো গ্যারান্টিকে তীব্র আক্রমণ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলের মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেন। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশের খোলা চ্যালেঞ্জ ও রাজ্যের সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে না পারায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ১৭৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। কিন্তু এখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের জবাবে কোনও উত্তর দিতে পারল না বিজেপি। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনও রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করতে পারেনি তারা।
বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ফের মোদির জিরো গ্যারান্টি নিয়ে সরব হল তৃণমূল (TMC)। মোদি সরকার বলেছিল ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু যদি দ্বিগুণ করতে হয় তাহলে ২০১৫ থেকে বছরে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তব বলছে দ্বিগুণ তো দূর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি তারা। কৃষকের আয় বেড়েছে মাত্র ৩.৫ শতাংশ। স্বচ্ছ ভারত মিশনেও ডাহা ফেল মোদির গ্যারান্টি। গত ৫ বছরে বিপজ্জনক ট্যাঙ্ক ও নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে গোটা দেশে ৩০৮ জন সাফাই কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। স্বচ্ছতা এল না, উল্টে প্রাণ গেল মানুষের। ভারত মালা প্রকল্প যখন শুরু হয়েছিল তখন ছিল ৫৫০টি জেলা, আর এখন তা হয়েছে ৮০৬টি জেলা। তথ্য বলছে, এতদিনে এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৯ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। উল্টোদিকে প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। মোদির সাধের আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও বড়সড় দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছে সিএজি। সেই তথ্য তুলে ধরে চন্দ্রিমা বলেন, বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশে ৭.৫ লক্ষ ভুয়ো উপভোক্তাকে পাওয়া গেছে। মৃত ঘোষণা করা ৪০০ জন রোগীকে এক কোটিরও বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় একই অবস্থা। বাস্তব ছবিটা বলছে, গত ২২-২৩ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ১.২ কোটি পরিবার একটি সিলিন্ডারও কেনেননি। ১.৫ কোটি পরিবার গোটা বছরে মাত্র একটি সিলিন্ডার কিনেছেন। গোটা প্রকল্পটি যে কতটা ফ্লপ এটাই তার প্রমাণ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ব্রিটিশ আমলের থেকেও খারাপ।
আরও পড়ুন- এনআরসি আতঙ্কে কলকাতার যুবকের আত্মহত্যা! পরিবারের পাশে তৃণমূল