ভোটপাখি মোদিকে তৃণমূলের তোপ: বাংলার মানুষ বলছেন, খালি হাতে আসবেন না রাজ্যে, সঙ্গে বকেয়া নিয়ে আসুন

দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে ঐক্যের বার্তা তৃণমূলের, পরিবর্তে বিজেপির কুৎসা

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রের পাঠানো সংসদীয় প্রতিনিধি দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। তিনি বিদেশের মাটিতে বেস্ট পারফরম্যান্স করছেন। কড়া ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বার্তা দিচ্ছেন, এমন একটা সময় প্রধানমন্ত্রী আসছেন বাংলায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে, তাদের সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করতে, তিনি আসছেন, এক্স-হ্যান্ডেলে পোস্ট করছেন, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই আগে না আপনাদের এই সস্তা রাজনীতি আগে, বলুন নরেন্দ্র মোদি! আগামী কাল আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে জোরালো প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ভোটপাখি বলেন তোপ দেগে দলের স্পষ্ট বক্তব্য, যে দলের সাধারণ সম্পাদক বিদেশের মাটিতে আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিচ্ছেন আর আপনি সেই দলের সরকারের বিরুদ্ধে, সেই রাজ্যে এসে কুৎসা করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের স্ট্যান্ড ঠিক করে দিয়েছেন, এইসময় আমরা সবাই দেশের পাশে, তখন এই সস্তা রাজনীতি, নরেন্দ্র মোদি আপনারা চান কী? যখন তৃণমূল কংগ্রেস এক দেশভক্ত রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছে তখন আপনি আসছেন সেই রাজ্যে রাজনীতি করতে। আপনি কেন কাশ্মীর যাননি, আপনি কেন মণিপুর যাননি? এইসময় সৌজন্য রেখে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা অনেক কথাই বলছি না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা অনেক আক্রমণ করা যেতে পারে কিন্তু সৌজন্যবশত আমরা তা করছি না। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, আপনি নিজেই এখন সেই রাজনীতি করতে বাংলায় আসছেন। আসছেন যখন খালি হাতে আসছেন কেন, কেন বাংলার বকেয়া টাকা দিচ্ছেন না, মনরেগার টাকা দেননি, একশো দিনের টাকা দিন, বাংলার বাড়ির টাকা দিন, আপনারা বাংলার মানুষকে কাজ করিয়ে টাকা দেননি, সেই টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার দিয়েছে। রাজ্যের ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আপনারা টাকা দিচ্ছেন না আর এখন আসছেন রাজনীতি করতে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের সরকার চলছে। এ সরকার তৃণমূলের সরকার। তৃতীয়বারের সরকার চতুর্থ বারও আসবে মা মাটি মানুষের সরকার। কুণালের সংযোজন, আপনি যেখানে সভা করতে আসছেন সেই আলিপুরদুয়ারে অনেক উন্নয়ন হয়েছে সেখানে পরিকাঠামো থেকে শুরু করে জল আলো রাস্তাঘাট কর্মসংস্থান— সব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মনে রাখবেন আপনি আলিপুরদুয়ারের মানুষকেও কাজ করিয়ে টাকা দেননি। উনি রাজনৈতিক পর্যটকের ভূমিকা পালন করছেন। এইসময় বাংলায় অনেক পর্যটক আসছেন। সেরকমই একজন পর্যটক আসছেন রাজনীতি করতে।

আরও পড়ুন- ভারতের কাছে হেরে কোর্টে পাক-অসভ্যতা

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধামন্ত্রীর পোস্ট নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই পোস্ট, প্রধানমন্ত্রী এখন না করলেই পারতেন। এটা পুরোপুরি অবাঞ্চিত। আমরা পরিষ্কার বলছি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যদি লড়াই হয় তাহলে আমরা সবরকম ভাবে সরকারের পাশে আছি। কিন্তু বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে যদি কোনও রাজনীতি হয়, কুৎসা করা হয় আমরা তার জবাব দেব। প্রধানমন্ত্রী আসছেন আসুন, কিন্তু মনে রাখবেন উনি কাশ্মীর যাননি। জঙ্গি হানায় কাশ্মীরে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সেইসব জায়গায়, সেইসব গ্রামে উনি কিন্তু যাননি। সেখানে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা গিয়েছেন। সেই ঘটনাস্থলে আমাদের দলের লোকেরা গিয়েছেন। মণিপুর জ্বলছে, আজ অবধি উনি ওখানেও যাননি। কিন্তু উনি আসছেন বাংলার আলিপুরদুয়ারে। গণতান্ত্রিক রাজ্য প্রধানমন্ত্রী সভা করতেই পারেন কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সবরকম সৌজন্য দেখিয়ে বলেছেন, এইসময় আমরা দেশের পাশে সবাই, কেন্দ্রের পাশে সবাই, এখানে আমরা রাজনীতি দেখছি না।

Latest article