আদালতে জোর ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করে দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য আটকে রেখে বাংলাকে বঞ্চিত করছে মোদি সরকার। এবার সেই ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের হলফনামা চাইল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুক্রবার, তৃণমূল (TMC) ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। তিনি বলেন, বিজেপির দু-গালে জোর থাপ্পড়!
ভোটের ময়দানে পেরে উঠতে না পেরে বাংলার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Govt of India)-এই অভিযোগ আগেই করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি ভোটেও হারে আর কোর্টেও হারে। কোর্টের নির্দেশ পড়ে শশী বলেন, আর কত থাপ্পড় দরকার বিজেপির! নির্লজ্জ। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আর কত নির্দেশ চাই! বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার ভুল করছে। তাও তারা শুধরোচ্ছে না। বিজেপি নেতারা ফোন করে বলছে বাংলার টাকা আটকে রাখো। এর প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। প্রতিবাদ করেছে বাংলার সাধারণ মানুষ। সবাই বলছে ভুল করছো। তাও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্লজ্জের মতো আচরণ করছে।
আরও পড়ুন-আগামী সপ্তাহেই পারদপতন, দুয়ারে শীত
১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে থাকায় প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। তাই কেন্দ্রের টাকা না-পেয়ে রাজ্যের তহবিল থেকে টাকা দিয়ে এই ধরনের কাজের প্রকল্প শুরু করে তৃণমূল। পাশাপাশি কেন্দ্রের বকেয়া নিয়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে। এর আগেই আদালত গত আগস্ট মাস থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র তো টাকা দেয়নি উপরন্ত, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের মামলা খারিজ করে দিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে দ্রুত ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে সেই নিয়ে এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রের রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।

