এসআইআরের জেরে রাজ্যে একের পর এক মৃত্যু। ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আত্মীয়ের তথ্য সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ও বিএলও-দের (BLO) কাছে থাকা নির্দেশ নিয়ে অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। রাজ্যের একাধিক জেলায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে ডেটা এন্ট্রির কাজে। এ নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠিও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তৃণমূল ভবন থেকে জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)।
বাংলায় এসআইআর ঘোষণা করে জ্ঞানেশ কুমার বলেছিলেন, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহের সময় নাগরিক চাইলে নিজের নামের পাশাপাশি আত্মীয়ের তথ্যও দিতে পারবেন। জানান, চাচা বা কাকার মতো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামও ফর্মে উল্লেখ করা যাবে। অর্থাৎ, শুধু বাবা-মা বা দাদু-দিদিমা নয়, অন্য রক্তের সম্পর্কও স্বীকৃত বলে কমিশনের ব্যাখ্যা ছিল। কিন্তু বিএলও ব্যবহৃত কমিশনের অফিসিয়াল সফটওয়্যার BLO App-এ ‘relative’ অংশে দেখা যাচ্ছে – বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি ও ট্রান্সজেন্ডার। সেখানে কাকা, পিসি, ভাইবোন বা অন্য আত্মীয়ের জন্য কোনও বিকল্প নেই। ফলে কমিশনের মৌখিক ব্যাখ্যা ও সফটওয়্যারের কাঠামোর মধ্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে বহু প্রকৃত নাগরিকের তথ্য BLO-রা আপলোড করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন-অভিষেকের জন্মদিনে থ্রি-ডি রঙ্গোলি পোট্রেটের শুভেচ্ছা গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে
বিএলও সংগঠনগুলি তৃণমূলে অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অ্যাপ এবং মৌখিক ব্যাখ্যার মধ্যে অমিল থাকায় জটিলতা বাড়ছে।
ক্ষুব্ধ শশী (Shashi Panja) জানান, “একের পর এক মৃত্যু এসআইআর-এ। হুড়োহুড়ি করে এসআইআর। অনেকগুলো নাম বাদ দিতে হবে। মানুষ বিভ্রান্তির সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকুক। সময়সীমা পেরিয়ে যাবে ৪ ডিসেম্বর। খসড়া তালিকা বেরোবে ৯ ডিসেম্বর। তারপর নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে। জ্ঞানেশ কুমারকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি যে এত মৌখিক নির্দেশ দিচ্ছে সেগুলি লিখিতভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। যে বিএলও-রা কাজ করছেন তাঁরা সফটওয়ারের মধ্যে এই অপশন পাচ্ছেন? আমরা প্রতিনিয়ত বলছি ভোটের কাজে এতটা অসঙ্গতি হতে পারে? ভোটার তালিকা সমগ্র ভারতে এক রকম হয় আর বাংলায় আরেকরকম হয়। কেন বাংলা টার্গেট? এসআইআরেও বাংলাকে টার্গেট করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন যাঁদের এই দেশে জন্ম তারাই এই দেশের নাগরিক হতে পারবেন। এই কথা কি নির্বাচন কমিশন বলেছে? এই কথা তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন। তাহলে বিজেপির মধ্যেই এমন অনেক নেতা আছেন যাঁদের জন্ম ভারতেই হয়নি। যেমন লাল কৃষ্ণ আদবানি। কেন অসম, ত্রিপুরাতে এসআইআর হবে না? এসআইআরের কারণে বাংলা ১৪টা মৃত্যু। এর দায় কে নেবে?”

