প্রতিবেদন : তিনি বাংলায় এলেন— ডাহা মিথ্যাচার করলেন— চলে গেলেন। সেইসঙ্গে যেখানে সভা করে মিথ্যাচার করলেন, সেই দুর্গাপুর স্টেডিয়ামটাকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়ে গেলেন! উন্নয়ন করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার। আর ধ্বংস ও মিথ্যাচার করছে বিজেপি। এককথায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে এভাবেই ধুয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে দলের স্পষ্ট বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একরাশ বিকৃত তথ্য দিয়েছেন। আসলে সত্যের অপলাপ করছেন। বড় বড় কথা বলছেন! খালি হাতে এসেছেন কেন? বাংলার এক লক্ষ সত্তর হাজার কোটি টাকার বকেয়া— সেটা দেননি। দৃশ্যমান বকেয়া যেটা সেটা দেননি আর অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি টাকার গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাকে কেউ দয়া করতে বলছে না। সাফ কথা তৃণমূল কংগ্রেসের। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসেছেন। বাংলা রাজ্য কোনটা কীরকম দেখতে সেটা জানেন তো! বাংলাভাষীদের বিতাড়িত করছে বিভিন্ন রাজ্য। সেটা নিয়ে কিছু বললেন না। এখন বিকশিত বলছেন বোঝা যাচ্ছে চাপটা ভালই হয়েছে। বিকাশটা কোথায় করলেন আমরা জানতে চাই। বিভিন্ন রাজ্যে যারা বাংলাভাষী বাংলায় কথা বলি তাদের রোহিঙ্গা বলে তাড়িয়ে দিচ্ছেন? একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যারা বাংলায় লিখছে তাদের বিদেশি বলে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। তারপর দেখলাম দুর্গাপুরে এসেছেন। কী করেছেন? কিছু একটা উন্মোচন করছেন? কুণাল ঘোষ বলেন, মিথ্যাচার কোন জায়গায় গেছে, নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু-কোটি চাকরির। দশ বছর হয়ে গেছে ২২ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। রিপোর্ট বলছে, ২২ লাখ হয়েছে। সারাদেশে বেকারত্বের গড় বাড়ছে। বাংলায় গড় নিম্নমুখী। আর উনি আসছেন পশ্চিমবঙ্গের সমালোচনা করতে! প্রত্যেকটি বিজেপি রাজ্যে নিয়মিতভাবে নির্যাতন চলছে। আরজি করের কথা বলছেন! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কসবায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি রাজ্যে হসপিটাল-এর মধ্যে নার্সকে খুন করে দিয়ে গেল। উত্তরপ্রদেশে পুলিশ ছাত্রীকে ধর্ষণ করছে! মহারাষ্ট্রের পুনেতে হোম ডেলিভারি বয় ধর্ষণ করল। গুজরাতে বিলকিসের ধর্ষকদের ছেড়ে দিল। সুপ্রিম কোর্ট তাদের জেলে ফেলেছে। বাংলায় বাম জমানার থেকে ক্রাইম কমেছে। সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করেছেন। বাংলার বকেয়া টাকা দেননি।
আরও পড়ুন-পকসো মামলায় কারাদণ্ড