প্রতিবেদন : মোদিবাবু, আর কত মিথ্যাচার করবেন? ভোটের রাজনীতিতে ফায়দা তুলতে শেষে কি না দুর্গাপুজোকেও (Durga Puja) ছাড়লেন না! বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি নিয়েও মিথ্যাচার। আপনারাই বলেছিলেন না, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। এখন কেন উল্টো কথা! এখন বলছেন বাংলার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে কেন্দ্রের উদ্যোগে। শুনে রাখুন, বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্ব মানচিত্রে প্রথম তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজেবল কালচারাল হেরিটেজ’ তকমা ছিনিয়ে এনেছে। এখানে কেন্দ্রের কোনও কৃতিত্ব নেই, কোনও প্রচেষ্টাও নেই। বরং কেন্দ্র বারবার বাংলার বদনাম করেছে, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না বলে অপপ্রচার করেছে। এখন আবার প্রচারমন্ত্রী মিথ্যচারের রাজনীতি শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন-কুলদীপ-তিলকে রুদ্ধশ্বাস জয়, এল কাপও
বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja)। সেই দুর্গাপুজোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় হয়ে উঠেছে বিশ্বজনীন। কলকাতার রেড রোডে দুর্গা কার্নিভাল এখন ব্রাজিলের রিও কার্নিভালের সঙ্গেই এক বাক্যে উচ্চারিত হচ্ছে। তারপর অনুদান প্রদান, কর্মসংস্থান ও পরিকাঠামো তৈরির মাধ্যমে রাজ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছেন। লালন করেছেন বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। তার ফলেই এসেছে বিশ্ব-স্বীকৃতি। আর এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে ২০২১-এ ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি এসেছে। অতুলনীয় এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিতে ইউনেস্কো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, দুর্গাপুজোর সময় বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় সমস্ত বিভাজন মুছে যায়। এমন উৎসব সত্যিই বিরল। দুর্গাপুজো ধর্মীয় উৎসবের আঙিনা ছাড়িয়ে অনেক বেশি করে সামাজিক উৎসবে পরিণত করার মূল কান্ডারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।