সিঁদুর নিয়ে খেলবেন না, প্রধানমন্ত্রীকে কড়া হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুৎসার রাজনীতির কড়া জবাব দিল তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ (TMC) বিরোধী দলগুলি যখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার বার্তা দিচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে রাজনীতি করতে রাজ্য সফর করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর নাম দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিঁদুর নাম নিয়ে এখন রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভাজনের রাজনীতি করছেন। শুক্রবার ফের তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া জবাব দেওয়া হয়। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যু ধরে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন।

আরও পড়ুন-কালীগঞ্জ উপনির্বাচন: মনোনয়ন জমা দিলেন আলিফা

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নির্মল সরকার চলছে। আপনি দয়া করে এখানে এসে আমাদের রাজ্যকে দূষিত করবেন না। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য না করলেও বঙ্গসফরে এসে সেই সিঁদুরকে রাজনীতির ময়দানে নামিয়ে নির্বাচনী ফায়দা তুলতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদিজি মনে রাখবেন, সিঁদুর বড় সম্মানের জিনিস মেয়েদের কাছে। স্বামীরা স্ত্রীদের সিঁথি রাঙিয়ে দেন সিঁদুরে। আর বাংলার মানুষ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, রবীন্দ্র-নজরুলকে আলাদা করে না। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, নরেন্দ্র মোদির দলের এক নেতা বলছেন, অপারেশন সিঁদুরের পর এবার অপারেশন বাংলা! তাঁদের পরিকল্পনাটা কী? তাঁরা কি আমাদের জঙ্গিদের সঙ্গে তুলনা করছেন, বাংলার রাস্তায় রক্ত ঝরাতে চাইছেন? এটা বিজেপি’র একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।
রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরবঙ্গের কোনও চা-বাগানের জন্য এক পয়সাও দেননি। তিনি শুধু বিভিন্ন সময় কেবল মিথ্যে প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গিয়েছেন। বাংলার চা-শিল্প এবং চা-শ্রমিকদের বিষয়ে শুধুই মিথ্যাচার করেছেন! একের পর এক প্রমাণ দেখিয়ে, যুক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে বাংলার চা-শ্রমিকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিজির মিথ্যাচারের রাজনীতির মুখোশ খুলে দেন ঋতব্রত।
এদিন উধমপুর পূর্বের বিজেপি বিধায়ক বায়ুসেনা জওয়ানদের ‘অকর্মণ্য’ বলে অপমান করার বিষয়ে অতিভদ্র প্রতিবাদ জানান। বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, উধমপুর এয়ারবেসে জওয়ানেরা নাকি গোটা অপারেশনের সময় ঘুমোচ্ছিল! ঋতব্রত বলেন, এই হল বিজেপির চরিত্র। সেনাদের এরা কী চোখে দেখে, তা বিজেপি নেতাদের কথাতেই সুস্পষ্ট।

তিনি আরও বলেন, বিজেপি সীমান্ত-পাচার নিয়ে রাজ্য সরকারকে দুষছে। এদিকে, কয়েক বছর আগেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে দিয়েছে। সাংসদ এদিন প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেন, সীমান্ত রক্ষার দায় আপনার, এদিকে অপরাধের বিষয়ে দায় নেবেন না, এটা চলতে পারে না।

Latest article