প্রতিবেদন : ত্রিপুরায় বিজেপির তান্ডব উপেক্ষা করেই দিনভর জারি রইল পুরভোটের প্রচার। আগরতলা, তেলিয়ামুড়া, আমবাসা, অমরপুর সব জায়গাতেই সকাল থেকে জোর কদমে প্রচার চলল। দলের পতাকা নিয়ে প্রচার করতে গিয়েই বিজেপির হামলার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী৷ তাও তাঁরা পিছু হঠেননি।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাকশনে নামার নির্দেশ এসেছে বিজেপির ওপরতলা থেকে। তাই বিজেপির গুন্ডারা কাউকে রেয়াত করছে না। প্রচারে বাধা দিতে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে সভা বাতিক করছে একের পর এক জায়গায়। বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়া ও আমবাসায় প্রচারসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ ও সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, অর্পিতা ঘোষদের শেষ মূহুর্তে সেই সব সভার অনুমতি বাতিল করে প্রশাসন। কোনও কারন না দেখিয়েই। ত্রিপুরায় দলের নেতা আশিসলাল সিং জানান, পুলিশ একটার পর একটা সভা বাতিল করছে। বাধ্য হয়ে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে শুধু ডোর টু ডোর করছি।
আরও পড়ুন : Tripura BJP Attack on TMC: তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা, আবার তাদেরই গ্রেফতার!
দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ২০ থেকে ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় কোনও হোটেল বুকিং নিচ্ছে না। বলে দেওয়া হচ্ছে রুম খালি নেই। কারন ভোটের সময় উত্তরপ্রদেশ, আসাম থেকে লোক নিয়ে এসে এই সব হোটেলে রাখা হবে৷ ভোট লুঠ করার জন্য এদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষ এর জবাব দেবে।
অর্পিতা ঘোষ বলেন, সকাল থেকে হোটেলে বসে খবর পাচ্ছি আমাদের একটার পর একটা সভা বাতিল হচ্ছে। এটা কি ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যে আছি নাকি জঙ্গলে আছি বুঝতে পারছি না।
এসবের মধ্যেও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান অব্যাহত রইল। বৃহস্পতিবার সকালে অমরপুরে সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিক এর হাত ধরে ৬৭ টি পরিবার যোগ দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসে। এরপর দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে হল বিশাল মিছিলও। ত্রিপুরার মানুষ আস্থা রাখছে।