প্রতিবেদন : ৬ কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা (TMC Candidates)। উত্তরের সিতাই থেকে দক্ষিণের মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার নদিয়া, হাড়োয়া-সহ সর্বত্রই বিরোধী দলগুলিকে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারের সঙ্গেই চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি হাড়োয়া বিধানসভার উপ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের।
বুধবার বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিয়ে এমনই মন্তব্য হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বসিরহাটের সাংসদ সদ্য প্রয়াত হাজি শেখ নুরুল ইসলামের পুত্র শেখ রবিউল ইসলামের। এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু-সহ সকল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, যাঁরা রাজনীতির মধ্যে আছেন তাঁদের ইচ্ছা থাকাটাই স্বাভাবিক প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু দলের উচ্চ নেতৃত্বরাই সিদ্ধান্ত নেন কে প্রার্থী হবেন।
আরও পড়ুন- ডানার জেরে বাতিল দেড়শোরও বেশি ট্রেন
আমি ভাগ্যবান যে দল আমার উপর ভরসা করেছে। আমার বাবা দীর্ঘদিন দলের একনিষ্ঠ নেতা হয়ে দলের হয়ে কাজ করেছেন। আমি তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে দলের নীতি মেনে হাড়োয়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলে হাড়োয়ার উন্নয়ন করব বলে জানান রবিউল ইসলাম। পাশাপাশি মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, হাড়োয়া বিধানসভা ও বসিরহাট লোকসভায় আমরা বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিলাম। ফলত হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয় স্বাভাবিক। এখানে বিরোধীদের তেমন কোনও প্রভাব নেই। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে, তবে তার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের কোনও যোগ নেই। দল যাঁকে প্রার্থী দিয়েছে তাঁকেই সকলে মিলে উপ-নির্বাচনে জয়ী করবেন। এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের উপস্থিতি ও তাঁদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন, নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সনৎ দে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন সকাল-সকাল। সকালে গণদেবতার আশীর্বাদ নিতে নৈহাটি পুরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন। সাথে ছিলেন নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি ও পুরপারিষদ কানাই আচার্য, পুরপ্রতিনিধি মনোয়ারা বেগম ও সুশান্ত সরকার। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সনৎ দে তাঁর নির্বাচনী প্রচার আরও জোরদার করেছেন। দ্বিতীয় দিনে তিনি নৈহাটি টাউনের ৩ এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন, প্রধানত হিন্দিভাষী বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ করেছেন। সনৎবাবু সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনেছেন, তাঁর পরিকল্পনা জানিয়ে এবং সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিক এবং মহিলাদের সাথে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ দারুণ গ্রহণযোগ্য হয়েছে এবং স্থানীয়দের উষ্ণ অভ্যর্থনা তাঁর প্রচারকে আরও জোরদার করেছে। মেদিনীপুরে ঝোড়ো প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। মাদারিহাটেও প্রচার জমজমাট।