সংবাদদাতা, কাটোয়া : খেতমজুরদের সমাবেশে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা, জনবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্য তৃণমূল (Central Government- TMC) কিসান-খেতমজুর সংগঠনের সভাপতি, প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু (Purnendu Basu)। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার ধানের সহায়ক দর বাড়িয়েছে। কৃষকরা যাতে সেই দর ঠিকঠাক পান, সে ব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। রাইস মিলগুলো যেন ভিজে ধানের অজুহাতে কৃষকদের কাছ থেকে বেশি ধান কেটে না নেয় নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের ধান্য ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে হাজির থাকতে হবে, বিডিওর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।’ কালনার সিংয়েরকোণ বিডিও অফিস লাগোয়া মাঠে কৃষিশ্রমিকের মজুরিবৃদ্ধির দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশে ছিলেন দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু, কালনা ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়-সহ কৃষক নেতারা। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী শস্যবিমা, কৃষি সরঞ্জাম দেওয়া, কৃষকবন্ধু, জয় জোহার-সহ বিভিন্ন প্রকল্প ও ভাতা দিচ্ছেন বলে এ রাজ্যের কৃষক-মজুরের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয়ে যাচ্ছে।’ খেতমজুরদের স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এ রাজ্যে প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যাই প্রায় ৯০ শতাংশ। তাঁদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।’ ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘এই টাকা বিজেপির (Central Government- TMC) দয়ার দান নয়। এই টাকা দিতে হবে। এটা আইন। কাজ চাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বেকার ভাতা দিতে হবে।’ বিজেপি নেতারা ভোট চাইতে এলে এই নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করতে বলেন তিনি। বলেন, ‘আমরা তো মেলা-খেলার টাকা চাইছি না। হকের টাকা চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের তহবিল থেকে কিছু কিছু করে ১০০ দিনের কাজ চালু রেখেছেন।’ সমাবেশে আদিবাসী মহিলাদের হাজিরা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন-হস্তশিল্পীদের আয়ের দিশায় ২ বছরে চালু ৩১ গ্রামীণ হাট