প্রতিবেদন : খেজুরিতে (Khejuri) আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর নির্দেশে শুক্রবার খেজুরিতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তাঁদের আশ্বস্ত করে নেত্রীর বার্তা পৌঁছে দিয়ে বলেন, দল ও প্রশাসন সর্বতোভাবে তাঁদের পাশে আছে। ভয় পাবেন না। এরপর সেখানে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। দুই মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও শিউলি সাহা, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বক্তব্য রাখার আগে বিজেপির সন্ত্রাসে আহতদের সঙ্গে মঞ্চে একদফা কথা বলেন। এই সময় এলাকার মা-বোনেদের তরফে আওয়াজ ওঠে, যারা সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন স্কিমের সাহায্য নিচ্ছে তারাই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূলের উপরে। রাতের অন্ধকারে চলছে বোমাবাজি। চাষ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পুকুরে বিষ ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। যারা এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে সরকারি পরিষেবা থেকে তাদের নাম বাদ দিতে হবে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মঞ্চে জানিয়েছেন, সন্ত্রাসকারীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। নাম-ঠিকানা থানায় জমা দিতে বলেন তাঁরা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা খেজুরির মানুষকে পৌঁছে দেওয়া হয়। এলাকায় শান্তিরক্ষার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একটা সময় এখানে দিন-রাত বোমা-গুলির শব্দে মানুষ সন্ত্রস্ত থাকত। সেই দিন আর ফিরতে দেওয়া হবে না। আপনারা কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের সর্বস্তরে পরিষেবা দিতে চালু কর্মশ্রী পোর্টাল
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসেছি। খেজুরিতে (Khejuri) বিজেপির যারা সন্ত্রাস করছে তারা জেনে রাখুক এই অবস্থা বেশিদিন চলবে না। মন্ত্রী শিউলি সাহা ও উত্তম বারিকরা বিজেপির দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরাই এখানে শান্তি এনেছি। যারা ফের খেজুরিকে অশান্ত করতে চাইছে তাদের চিহ্নিত করুন। পুলিশ প্রশাসনকে জানান। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা আছি। মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। যারা সন্ত্রাস করছে তাদের তালিকা তৈরি করে থানায় জমা দিন। ছিলেন পীযূষকান্তি পণ্ডা, প্রদীপ জানা, রণজিৎ মণ্ডল, সমুদ্ভব দাস।