পাক সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে, পুঞ্চের পর রাজৌরিতে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস তৃণমূলের

Must read

অতর্কিতে পাকিস্তানের গোলা-গুলি বর্ষণে সন্ত্রস্ত কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী পুঞ্চ-রাজৌরিসহ একাধিক এলাকা। পহেলগাঁও পরবর্তী হামলাতেও বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। দলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পুঞ্চের পর শুক্রবার রাজৌরিতে স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। সেইসঙ্গে সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন, আপনারা একা নন, গোটা দেশ আপনাদের পাশে আছে, বাংলার মানুষ কাশ্মীরের পাশে আছে।

তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কথায়, নিরীহ মানুষদের তো কোনও দোষ ছিল না, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কষ্টে সমব্যথী। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এই কথায় আপ্লুত কাশ্মীরবাসী।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন, বার্তা জাপানের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকারের

তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্য এদিন রাজৌরিতে পৌঁছে পাক গোলাগুলি বিধ্বস্ত অঞ্চল পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন। পাক হানায় আহতদের দেখতে রাজৌরির জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন। আহতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রাজকুমার থাপা। তৃণমূলের প্রতিনিধিদল তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার পুঞ্চে গিয়ে পাক গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ান ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিক ঘোষ, মানস ভুঁইয়া, নাদিমুল হক ও মমতাবালা ঠাকুররা। সান্ত্বনা দেন স্বজনহারাদের। পুঞ্চবাসী নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা ভাগ করে নেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। শুক্রবার রাজৌরিতেও দেখা গেল সেই একই চিত্র। কাশ্মীরের মানুষজন জানালেন গ্রামে কোনও বাঙ্কার নেই, পর্যাপ্ত চিকিৎসার সুবিধা নেই।

প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় পাক-গোলাগুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়া, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ পুনর্নির্মাণ, সবেতেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকার। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া উচিত বলেই আমরা মনে করি।

Latest article