নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য : নির্বাচনী প্রচারের সময়ই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ছবিটা। সেই অনুমান সত্যি প্রমাণ করে কলকাতা পুরভোটে নজিরবিহীন সাফল্য পেল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার ছিল পুরভোটের ফল। সকালে গণনা শুরু হতেই পরিষ্কার হয়ে যায় ছবিটা। বেলা যত গড়িয়েছে শহরজুড়ে ততই বেড়েছে সবুজ ঝড়ের দাপট। সেই ঝড়েই এবার কার্যত উড়ে গেল বিরোধীদের রামধনু জোট। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সব তারকাই বড় ব্যবধানে জিতলেন। জয়ী তারকা প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, মালা রায়, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত(মলয়) মজুমদার, রত্না চট্টোপাধ্যায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে-রা। নিজের ওয়ার্ডে ফের বড় ব্যবধানে জিতলেন প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জিতলেন প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। আর এক বিধায়ক ও পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জিতলেন দশ হাজারেরও বেশি ভোটে।
আরও পড়ুন : শোভনকে হারালেন রত্না
দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ ও বিদায়ী পুর বোর্ডের চেয়ারপার্সন মালা রায়ও বড় ব্যবধানে জিতে নিজের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড ধরে রাখলেন। দলের আরও এক হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রথমবার পুর নির্বাচনের আসরে নেমেই বাজিমাত করলেন। তিনিও জিতলেন দশ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও পুরসভার দীর্ঘদিনের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড ধরে রাখলেন। তিনিও জিতলেন দশ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে। দলের আরও এক তারকা প্রার্থী যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এবার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়াই করেছিলেন। তিনিও প্রায় ৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেন বিরোধীদের। তৃণমূলের অন্যান্য হেভিওয়েটদের মধ্যে আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বরূপ দে-র মতো প্রার্থীরাও রয়েছেন।