প্রতিবেদন : একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরের পাহাড়-সহ কয়েকটি জেলা। ফুঁসছে পাহাড়ি নদীগুলি। তিস্তার জল এখনও বিপদ সীমার ওপরে বইছে। ইতিমধ্যেই বহু বাড়ি তিস্তার গ্রাসে। সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেবকের লালটং বস্তি। শুক্রবারও একইভাবে চলেছে দুর্যোগ। প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো লালটং বস্তিতে ত্রাণ নিয়ে ছুটলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ঘুরে দেখেন বিপর্যস্ত এলাকাগুলি। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। তাঁদের হাতে তুলে দেন খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী-সহ ত্রিপল এবং ওষুধও। বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার কথা বলেন মেয়র। তাঁর সঙ্গে থাকা আধিকারিক নিরাপদস্থানে বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন মেয়রের সঙ্গে ছিলেন মহকুমা শাসক জলপাইগুড়ি, সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার, জেলা পরিষদের সদস্য মনীষা রায়, মেয়র পারিষদ শোভা সুব্বা প্রমুখ। মেয়র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত রবিবার উত্তরের বিপর্যস্ত পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় বৈঠকের সময় পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশমতোই দুর্গত এলাকায় জনপ্রতিনিধি-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা পৌঁছে যাচ্ছেন। পাশাপাশি গৌতম দেব বলেন, সেচ দফতরের তরফে বাঁধ মেরামতির কাজ চলে দ্রুততার সঙ্গে। এ ছাড়াও দুর্গতদের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।