অসীম চট্টোপাধ্যায় , দুর্গাপুর : পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে যুব তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে এলাকা জুড়ে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার বিকেলে বুদবুদের দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি তাঁর ছেলে চঞ্চল বক্সির মোটর বাইকে ফিরছিলেন। সেসময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা চঞ্চল বক্সিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। মোট পাঁচটি গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতিরা। তিনটি লাগে চঞ্চল বাবুর বুকে ও কপালে। তবে শ্যামল বাবুর গায়ে কোন গুলি না লাগায় তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন : বিজেপি নেতার কুকথা
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে আউশগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সভাপতি হায়দর আলি বলেন, শ্যামল বক্সি ও তাঁর ছেলে চঞ্চল একটি দলীয় অনুষ্ঠান থেকে বাইকে ফিরছিলেন। সেসময় ভাতকুন্ডা লাগোয়া জঙ্গল থেকে দুষ্কৃতীরা আচমকা পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তিনটি গুলি লাগে চঞ্চল বাবুর গায়ে। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা তাঁকে আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের জামতাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে বিজেপির হাত রয়েছে বলে হায়দার আলি দাবি করেন। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে বুদবুদ থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করেছে পুলিশ।যদিও বিজেপি এই হত্যাকাণ্ডে তাদের দলীয় কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা চঞ্চল বক্সি। তাঁর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।