প্রতিবেদন : বাংলাকে লজ্জিত করল গদ্দারের দল। আদিবাসী সমাজকে অপমান করল বিজেপি। গোটা বাংলা (West Bengal- TMC) প্রতিবাদে সোচ্চার। আওয়াজ উঠেছে ছিঃ, গদ্দার ছিঃ।
ধর্মতলার বুকে শহিদদের অপমান করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপার ফ্লপ সভা৷ দলের মধ্যেই কোণঠাসা গদ্দার অধিকারী ঘটনা থেকে মুখ ঘোরাতে রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে অসভ্যতা শুরু করে। যেখানে তখন ধরনায় রাজ্যের দুশোর বেশি বিধায়ক। বাংলার মুখে কালি লাগিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করে গদ্দার আর তার সাকরেদরা৷ কিন্তু এখানেই শেষ নয়, সংবিধানপ্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তিকে সাক্ষী রেখে অপমান করে গোটা আদিবাসী সমাজকে। ওই ধর্নায় তখন ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা প্রমুখ আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি বিধায়করা। তাঁদের সরাসরি আবার অপমান। আর তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ চরমে উঠেছে। বাংলা জুড়ে আওয়াজ উঠেছে, ক্ষমাহীন কাজ করেছে বিজেপি দলুবদলু ঘুষখোর নেতা। ক্ষমা চাইতে হবে প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন- ফের দুধ-ডিম-মাংস উৎপাদনে নয়া নজির গড়ল বাংলা
মেদিনীপুরে গদ্দার অধিকারী প্রচারে গিয়ে অসভ্যতার চরমসীমা পেরিয়ে যান। বীরবাহা হাঁসদা ও দেবনাথ হাঁসদাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলে, বীরবাহা আর দেবনাথকে জুতার তলায় রাখি। অন্যায়, নোংরা, অসভ্যতা এবং অবমাননাকর কথা বলার পরেও নির্লজ্জ গদ্দার ক্ষমা চায়নি। এমন অবমাননাকর কথা বলার পরে আদালতও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থাও নেয়নি। বুধবার ফের আর একবার বীরবাহা, দেবনাথ, জ্যোৎস্না-সহ সমস্ত আদিবাসী সমাজকে অপমান করে প্রকাশ্যে। নেতৃত্বে সেই বিজেপির গদ্দার। শুক্রবার আম্বেদকর মূর্তিকে ধোয়ার নাটক করে ফের অপমান। এই অপমানের প্রতিবাদে দিকে দিকে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট বলেছে, ধর্মতলায় ফ্লপ সভা করার পর থেকেই গদ্দার মানসিক রোগীর মতো আচরণ করছে। বিধানসভার অন্দরে প্রথমে অসভ্যতা। স্পিকার যে কারণে গদ্দারকে সাসপেন্ডও করেছেন। এরপর বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীতের অপমান। যে কারণে ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আর আজ, শুক্রবার আম্বেদকর মূর্তি ধোয়ার নাটক করতে গিয়ে আদিবাসী সমাজকে অপমান। যথাযথ শাস্তি চাই গদ্দারের। বাংলার মানুষ দেখছেন। তাঁরাও ক্ষমা করবেন না এই পাপিষ্ঠ রাজনীতিককে।
সাংসদ প্রকাশচিক বড়াইক জানিয়েছেন, শনিবার আর রবিবার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারে সভা, মিছিল হবে। পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীত অবমাননায় অভিযুক্ত ১১ বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ৫ জনকে থানায় তলব করা হয়েছে। আর বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তি ধোওয়ার নামে অসভ্যতা আর আদিবাসী সমাজকে অপমানের পরিপ্রেক্ষিতে স্পিকার জানিয়ে দেন, বিধানসভা চত্বরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলে এবার থেকে অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হবে।