আজ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে: “হিন্দু সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের স্বঘোষিত অভিভাবকরা স্পষ্টতই হিন্দু ধর্মকে বোঝেন না, হিন্দু উৎসবকে সম্মান করতে ভুলে যান। এখন মা দুর্গা এবং বাংলার ঐতিহ্যের প্রতি তাদের ক্ষুদ্র সম্মান উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। এটা বিজেপির একটি চরম লজ্জার কাজ।”
বাংলার বিজেপি আবার অনেক বাঙালির দুর্গাপূজা উদযাপনকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাদের বাংলা বিরোধী দিকটি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা
মঙ্গলবার দূর্গাপূজার আয়োজন করে এমন ক্লাবগুলোকে ৫০,০০০ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ক্লাবের অনেকেরই কোন আর্থিক সমর্থন নেই, তাছাড়া কোভিডের কারণে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকার গত বছর এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল যাতে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। যদিও, এই বছর বিগত বছরের ঘোষিত একটি প্রকল্পের জন্য বিজেপি নির্বাচন আদর্শ আচরণবিধি প্রয়োগ করেছে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করেছেন: “ক্ষুব্ধ-পরাজিত লোকেরা আবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে তারা আসলে কতটা মূর্খ। বঙ্গ বিজেপির জন্য আমরা দুঃখিত। অনেক পুজো কমিটির দুর্গাপুজো উদযাপনের বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টার মূল্য তাদেরকে দিতে হবে। মানুষ সব মনে রাখবে।”
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি বলেন, “যদি বিজেপির বাংলার মানুষের অনুভূতির প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা থাকতো, তাহলে তারা এই ধরনের কাজ করার সাহস পেত না।”
আরও পড়ুন- বিজেপির দুর্গাপুজো নিয়ে কটূক্তি মনে করিয়ে দিয়ে টুইট করলেন ডঃ শশী পাঁজা
এর আগে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রভু রামকে সমর্থন করেছিলেন এবং মা দুর্গাকে পুরোপুরি নাকচ করেছিলেন, যার প্রমাণ আছে। এটিই প্রমাণ করে যে হিন্দু সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের স্ব-ঘোষিত রক্ষাকর্তারা হিন্দু ধর্মকে বোঝেন না এবং বাংলাকেও নয়।
এই প্রসঙ্গে বাংলার মন্ত্রী শশী পাঁজা টুইট করছেন: “আমরা ভুলে যাইনি কীভাবে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মা দুর্গাকে অপমান করেছিলেন। এখন তার দল দুর্গাপুজোর কমিটি গুলিকে নিয়ে সমস্যায় পড়েছে। এই পদক্ষেপের সঙ্গে, তাদের এই রাজ্যের অনুভূতির যে যোগাযোগ তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে আগের থেকে অনেক পরিস্কার ভাবে।”
“প্রথমে তারা মা দুর্গাকে অপমান করেছিল এবং এখন তারা আমাদের প্রাণের উৎসবকে অপমান করতে চলেছে! বঙ্গ বিজেপির এই ভন্ডামি কখনই কেউ ভুলবে না। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে।” রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস টুইট করেন।
নির্বাচনের সময় দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটুক্তি করতে ছাড়েননি এবং তাকে ‘বারমুডা’ পরতে বলেছিলেন। তিনি কন্যাশ্রীর মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী ভিত্তিক সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পেরও সমালোচনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপির অভিভাবক হওয়ার যদি এত শখ, বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ে দেখান’ হুঙ্কার কুণাল ঘোষের
গতবছর বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের সরকার বাঙালিদের তাদের প্রাণের উৎসব উদযাপন করতে নিষেধ করেছিল। এই বছরও তারা একই পথে হাঁটছে। বাংলার মানুষকে সফলভাবে উৎসব উদযাপন করা থেকে বিরত রাখার এটি একটি হাস্যকর প্রয়াস।