ন্যায্য পাওনার দাবিতে অভিষেকের আহ্বানে বাংলার মানুষ দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনা দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আদায়ে বাংলার মানুষ লড়াই চালাচ্ছেন। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দিল্লিতে ধরনা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিলেন বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLAs) বিশ্বজিৎ দাস, ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আজ ন্যায্য পাওনার দাবিতে ধরনা। তৃণমূল কংগ্রেসর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে আজ বাংলার মানুষ এখানে ধরনা মঞ্চে রয়েছেন। বাংলার মানুষ জানে কীভাবে অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয়। বাংলার টাকা আটকে রেখে সংসদ ভবন করছে মোদি সরকার। মীরজাফরদের (শুভেন্দু) দিয়ে বাংলার মানুষের ক্ষতি করছেন। অভিষেককে ভয় পেয়েছেন বলে ইডি ডেকেছিল। ইচ্ছা করে ট্রেন বাতিল কড়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন-এবার বঙ্গেই ভাঙল দুর্গা প্রতিমা! চাঞ্চল্য এলাকায়
নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, বিজেপি বাংলার গরিবদের ভাতে মারতে চাইছে। কিন্তু তা হবে না। বাংলার মানুষ লড়াই চালাবেন। মোদি সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার ,মানুষের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের সরকারকে জবাব দিতে হবে। সারনা ধর্মের কোড, বিলটা পাশ করে কেন্দ্রের সরকারকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র চুপ করে রয়েছে। বিজেপি সরকার আমাদেরকে আমাদের ধর্মের কোডের অধিকার দিতে চায় না। তাই সমস্ত আদিবাসীকে গর্জে ওঠার আবেদন জানাচ্ছি। বিজেপি সরকার আদিবাসী বিরোধী সরকার। যারা বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন তাদের ঘরটাও মণিপুরের মতো চলবে। সাবধান হয়ে যান। উত্তর প্রদেশেও দলিতদের ওপর অত্যাচার হয়।
বিধায়ক (TMC MLAs) তথা মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ১৬০০ কিমি রাস্তা বাসে করে এসেছেন বাংলার মানুষ। শুভেন্দু সুকান্তদের বলি বিজপির ক্ষমতা থাকলে এক মাসের মধ্যে এই জময়েত করে দেখান। টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। ৯২ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডার অ্যাক্টিভ। রাজঘাটে আমরা গতকাল নীরবে জমায়েত করেছিলাম। সেখান থেকেও পুলিশ দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক।