সংবাদদাতা, নলহাটি : ‘বিজেপি জানে, রামের নাম নিয়ে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করায় ভোট পাবে না। তাই নিজেরা সামনে না এসে অন্যদের পাঠিয়ে ভোট ভাঙতে সক্রিয়। জেনে রাখুন আপনাদের ভোট তৃণমূলে না পড়লে, সেটা বিজেপিতে পড়বে।’ নলহাটি ২ ব্লকের কাঁটাগড়িয়া মোড়ে জনসভায় সংখ্যালঘু এলাকার মানুষকে এভাবেই সচেতন করলেন সাংসদ শতাব্দী রায় (TMC MP Shatabdi Roy)। বলেন, ‘যারা আসবে, তারা প্রতিশ্রুতি দেবে। কিন্তু আপনাদের আছে বাস্তব প্রমাণ। আপনাদের ছেলেমেয়েরা সবুজসাথী, যুবশ্রী, কন্যাশ্রী পেয়েছে। মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। পেয়েছেন স্বাস্থ্যসাথী থেকে স্টুডেণ্টস ক্রেডিট কার্ড। মাধ্যমিক স্কুল উচ্চমাধ্যমিক হয়েছে। যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলছে, তাদের বলবেন, পরিবারের সবাই সমান হয় না। একজন দুজন খারাপ হলে গোটা পরিবারকে খারাপ বলা যায় না। সাংসদ ছাড়াও সভায় ছিলেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় মুখোপাধ্যায়, বিভাসচন্দ্র অধিকারী, বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় ও মোশারফ হোসেন, ত্রিদিব ভট্টাচার্য প্রমুখ। শনিবার রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকার বৈধরা বাগানপাড়ায় পানীয় জলের প্রতিশ্রতি পূরণে নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে গড়ে তোলা জলপ্রকল্পটির উদ্বোধন করেন সাংসদ (TMC MP Shatabdi Roy)। বাম আমল থেকে জলের দাবি জানিয়ে বঞ্চিত মানুষকে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্রতিশ্রতি পূরণ হওয়ায় স্বভাবতই খুশি এলাকার মানুষ। বর্তমান পঞ্চায়েত বোর্ড গ্রামে টিউবওয়েল বসালেও গরমে নেমে যেত জলের স্তর। ফলে গ্রীষ্মকালে জলকষ্টে ভুগতেন মানুষ। সাংসদের অর্থানুকূল্যে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে পাম্প স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। পাম্পের সাহায্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল ৪ হাজার লিটারের দুটি রিজার্ভারে জমা হবে। সেই জল পাঠানো হবে ১৫০০ ফুট দূরের মোট ১৮টি স্ট্রিট পয়েন্টে। ফলে বাগানপাড়ার দেড়শো পরিবার উপকৃত হবে। রামপুরহাট ১ ব্লকের কুসম্বা অঞ্চলে চাকাইপুর গ্রামের মানুষের দাবি মেনে শনিবার এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চেরও উদ্বোধন করেন সাংসদ।
আরও পড়ুন-বুনো হাতিকে ঘোল খাওয়াতে বাঘা ওল