প্রতিবেদন : বিজেপির লাগাতার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিরাট জয় পেল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটের আগে কার্যত বিপ্লব দেব সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আইনের পথে চলার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলে দিয়েছে, সন্ত্রাস বন্ধ করুন। আইনের পথে চলতে হবে। যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে। রিপোর্ট দিতে হবে। পদক্ষেপ না করলে ফের ব্যবস্থা। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি বিক্রম নাথকে নিয়ে তৈরি ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মামলাটি করেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তথ্য-সহ সেই মামলার শুনানির শেষে ডিভিশন বেঞ্চের রায়…
আরও পড়ুন : ত্রিপুরা পুলিশের অন্যায় সিদ্ধান্ত , চ্যালেঞ্জ, মামলা সুপ্রিম কোর্টে
১. আগামী ২৫ নভেম্বরের পুরসভা নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ হয়, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে।
২. নির্বাচনী প্রচার অবাধ করতে হবে। প্রচারে কোনও প্রার্থীকে বাধা দেওয়া যাবে না। কোনওরকম হামলা যেন না হয়।
৩. ৫ জন পুলিশ সুপারকে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও প্রার্থীদের নিরাপত্তার যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে।
৪. ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তাঁরা এই নির্দেশ পালনে কী কী পদক্ষেপ করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে দাবি করা হয়েছে, এই নির্দেশ যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে দেখুক। আর তা কার্যকর না হলে যতদূর যেতে হয়, তৃণমূল কংগ্রেস ততদূর যাবে। রাজ্যে বিজেপির সন্ত্রাস যে হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ যে সঠিক, তার মান্যতা বৃহস্পতিবার দিল সর্বোচ্চ আদালত। সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুবল ভৌমিকদের পাশে বসিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, অবাধ ভোট হলে আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড তৈরি করার জায়গায় রয়েছে।
ত্রিপুরায় বিরোধী দল, বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ প্রতিদিন ঘটছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি বারবার আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক ছাড়াও ছাত্রনেতা জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা-সহ অসংখ্য নেতা-কর্মী। এখন ভোটের সময় সভা ভাঙচুর আর প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি আক্রমণ চলছে। ফলে সন্ত্রাসের যে তথ্য সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল হাজির করেছিল তাতে সিলমোহর পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের। এবার বিজেপির নেতাদের জবাব দেওয়ার পালা।