প্রতিবেদন : চার বছর ধরে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। শুধু মুখে বড়াই আর বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা। বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী কুৎসা-অপপ্রচার করে গিয়েছেন। তাঁর সেই কুৎসার জবাব উন্নয়নের তথ্য-পরিসংখ্যানেই দিল তৃণমূল। ফের একবার তথ্য পেশ করে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিল, বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে, এখানে বিজেপির কোনও ঠাঁই নেই। ওরা কুৎসা করুক, আমরা থাকব উন্নয়নেই।
আরও পড়ুন-উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ, দক্ষিণে বাড়বে গরম
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিল, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলা থেকে সব রাজস্ব নিয়ে যায়, আর বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করে। তারপর মুখে বড় বড় কথা, কাজে শূন্য। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা করেন। পরিসংখ্যান দিয়ে তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি একশো দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া দেয়নি। বাংলার শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। আমরা শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়েছি। তাদের জন্য কর্মশ্রী প্রকল্প শুরু করেছি। সেই কর্মশ্রী প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শ্রমিকরা কেউ ৫০ দিন, কেউ কেউ ৬০ দিনের কাজও পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানুষের মানুষের ঘরে তা পৌঁছে দিয়ে আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। এর মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রী, তরুণের স্বপ্ন, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, কৃষক বন্ধু, বাংলা শস্যবিমা, বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা-সহ অন্যান্য প্রকল্প। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, জল্পেশ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক স্কাইওয়াক।