প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি ও রাম-বাম চক্রান্তের প্রতিবাদে উত্তাল হল বাংলা। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার ও রবিবার টানা দু’দিন বাংলার প্রতিটি ব্লকে প্রতিবাদ-কর্মসূচি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দুপুর দুটো থেকে এই প্রতিবাদ- কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। কোথাও প্রতিবাদ-মিছিল, কোথাও পথসভা, আবার কোথাও মানববন্ধনের মধ্যে দিয়ে ঝড় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার যার শুরুয়াৎ করেছিলেন নেত্রী নিজেই। কলকাতার মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রেসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি। যাতে দেখা গিয়েছিল জনবিস্ফোরণ। আগামিকাল রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ও ওয়ার্ডে ধরনা কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ, খুন-কাণ্ডে ব্যথিত সকলেই। দোষীদের চরমতম সাজা ও ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মুহূর্তে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। এর আগে গত শুক্রবার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশকে সাতদিনের ডেডলাইন দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হলেও সিপিএম ও বিজেপি একযোগে এই ঘটনাকে সামনে রেখে বাংলাকে অশান্ত করে তুলতে চাইছে। ন্যায়বিচারের দাবি বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে। বুধবার ১৪ অগাস্ট গভীর রাতে আরজি করে ধ্বংসলীলা চালানোর পর এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। একের পর এক ধর্মঘট, ডাক্তারদের কাজ না-করা, রাজ্য জুড়ে রোগী ও তাঁর পরিবারের হাহাকার চলছে। তাতেও হুঁশ ফেরেনি। মুখ্যমন্ত্রী সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক্তারদের কাজে ফেরার জন্য। কিন্তু তাঁদের কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সিপিএম-বিজেপির গভীর চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নেত্রী। এই দু’দিন কর্মসূচি চলার পর ১৯ তারিখ সম্প্রীতির রাখিবন্ধন পালন করবে তৃণমূল। ওইদিন ফের নয়া কর্মসূচি ঘোষণা কববেন নেত্রী। এরপর ২০ তারিখ ও তারপর থেকে ফের প্রতিবাদে পথে নামবে তৃণমূল।