সময় হাতে নেই বললেই হয়। ২৩ জুন ত্রিপুরার চারটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তেইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই । উপনির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রবল চাপে বিজেপি। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এখানে লড়াই কঠিন। এই কেন্দ্র থেকে নয়া মুখ্যমন্ত্রী জিততে না পারলে মুখ পুড়বে গেরুয়া শিবিরের। তাই ভোটের আগে সন্ত্রাসকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সরকারের সাড়ে চার বছরের অপশাসন, অনুন্নয়ন, জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছে বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসা তৃণমূল।
আরও পড়ুন-দু’কোটির জল!
ত্রিপুরায় এসে উপনির্বাচনে প্রচারে ঝড় তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের ২০ তারিখ সুরমা ও যুবরাজ নগরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করবেন অভিষেক। তার আগে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের তরফে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে বিজেপিকে “জনতার চার্জশিট” দিল ঘাসফুল শিবির। রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক এবং রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এই চার্জশিট পেশ করেন। যেখানে টাউন বড়দোয়ালি ও ৬, আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের মতামতকে তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মালদহের আমের মৌতাত দিল্লিতে
বিজেপির সাড়ে চার বছরের শাসনকালে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অপশাসনের খতিয়ান তৈরি করেছে
টাউন বড়দোয়ালি ও ৬, আগরতলার সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানেই বর্তমান শাসন দল সম্পর্কে মানুষের মনোভাব ব্যক্ত করা হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে যাকে বলা হচ্ছে “জনতার অভিযোগ পত্র”।
আরও পড়ুন-দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রদর্শনী
টাউন বড়দোয়ালি ও ৬, আগরতলা কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর একটি বই আকারে সেই অভিযোগ পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের অবহেলিত স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, আইন-শৃঙ্খলার দুরবস্থা থেকে শুরু করে বেকারত্ব, অনুন্নয়নকে তুলে ধরা হয়েছে। উপনির্বাচনের আগে জনতার এই অভিযোগ পত্র ও চার্জশিটকে করে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল।