রবি-সকালে ত্রিপুরায় দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ তৃণমূলের ১৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের জেরে আক্রান্ত হয়েছেন সুদীপরা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ দোলা সেন, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে ওই এলাকার পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল জানান, “গোটা থানা ঘিরে ফেলেছে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। প্রায় আড়াইশো জন জমায়েত করেছে থানার বাইরে। পুলিশকে সবটা জানানো হলেও পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে রয়েছে।” সব মিলিয়ে থানা চত্বরে পরিস্থিতি যে বেশ উত্তেজনাপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পা দিলেই জেলে ভরা হচ্ছে, এসব করে লাভ নেই: ত্রিপুরা পৌঁছেই তোপ অভিষেকের
খোয়াই পৌঁছনোর পর গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। এরপর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, “সারারাত খেতে দেওয়া হয়নি ছেলেগুলোকে। সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আমরা এখানে আসার পর গোটা থানা ঘিরে ফেলেছে বিজেপি গুন্ডাবাহিনী। পুলিশকর্মীদের বিষয়টি জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” পাশাপাশি জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কর্মীদের আরও বিপদে ফেলতে আমবাসা থানায় নয়া মামলা দায়ের করা হয়েছে। চলছে গ্রেফতারের প্রস্তুতি।
ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য বসুও। তিনি বলেন, “এখানে আইনের শাসন নেই। ত্রিপুরার স্থানীয় সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে আটকে দেওয়া হয়েছে। বাইরে বিজেপির গুন্ডা বাহিনীরা জমায়েত শুরু করেছে। পুলিশকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।”
আরও পড়ুন: হাওড়ায় বন্যা দুর্গতদের পাশে মন্ত্রী অরূপ রায়, ঘোষণা করলেন আড়াই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের
পাশাপাশি দোলা সেন বলেন, “ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই। যে ছেলেগুলো মার খেলো তাদেরকে আটক করা হয়েছে। এখন গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে যাতে তাদের জেলে আটকে রাখা যায়। আমবাসা থানায় নতুন করে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে।”