প্রতিবেদন : গুজরাতের মোরবিতে (Gujarat Morbi Bridge Collapse) ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে ধুয়ে দিল দল। মোদির বুকের পাটা থাকলে গুজরাতে দাঁড়িয়ে ওই চারটে লাইন বলুন যেগুলি ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় এসে পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের পর বলেছিলেন, চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতৃত্বের। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, গুজরাতের মোরবি বিপর্যয় কি অ্যাক্ট অফ ফ্রড? একইসঙ্গে দলের বক্তব্য, গুজরাতের ব্রিজ বিপর্যয় ও মৃত্যুমিছিলের দায় মোদি ও বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের। দলের নেত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। গুজরাতের (Gujarat Morbi Bridge Collapse) ব্রিজ বিপর্যয়ের পিছনে যে ভয়ানক প্রশাসনিক গাফিলতি রয়েছে তা পরিষ্কার। এখনও পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেক। এত বড় বিপর্যয়ের পরও কেন সিবিআই-ইডিকে দিয়ে তদন্ত হবে না? এই প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জবাব নেই বঙ্গ বিজেপির কাছে। উত্তর দিতে না পেরে জবুথবু অবস্থা তাদের।
আরও পড়ুন-মৃত্যু বেড়ে ১৪১ , চাপা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা, বাল্ব কারখানার মালিক মেরামতির দায়িত্বে
সোমবার সকালে তৃণমূল সাংসদ ও দলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় ২০১৬ সালে কলকাতায় পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের পর মোদির ভাষণ তুলে ধরেন। ওই ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে চূড়ান্ত অবমাননাকর সব শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সব সীমা অতিক্রম করে বলেছিলেন, অ্যাক্ট অফ ফ্রড? এদিন সে-কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। যা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সব মহলে।
এই ঘটনায় বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের চূড়ান্ত প্রশাসনিক গাফিলতির দিক তুলে ধরে একাধিক প্রশ্ন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, বিজেপি যেভাবে দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করে, মোদিজি যেভাবে এখানে এসে ভগবানের হাত বলেছেন, তাতে এই রাজনীতি-করা মানুষগুলোর উপর ভগবানের অভিশাপ। ফিট সার্টিফিকেট তড়িঘড়ি তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দায় এড়াতে পারেন না। উদ্ধার-অভিযান ঠিক ছিল না। চিকিৎসা ছিল না। এরা বড় বড় কথা বলে। যারা শকুনের রাজনীতি করে তাদের পাঠান। এবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠান। সাফ কথা কুণালের। তাঁর প্রশ্ন,
১. ব্রিজ থেকে কীভাবে কাটমানি আসতে পারে কেন দেখা হবে না?
২. ফিট সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে ব্রিজ খুলে দেওয়া হল?
৩. যে সংস্থাকে এই ব্যাপারে যুক্ত করা হয়েছিল তাদের কাজের পারদর্শিতা ছিল কি না। অভিজ্ঞতা ছিল কি না। কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না?
৪. হাসপাতালে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল। অসহায় মানুষ হাহাকার করেছে। চিকিৎসা পায়নি। ডাবল ইঞ্জিন সরকার। তাদের চিকিৎসার এই হাল? কোথায় ছিল প্রশিক্ষিত বাহিনী? গুজরাট সরকার মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে।
এ-সবের জবাব দিক বিজেপি তারপর বাকি কথা বলবে ওরা। সপাট জবাব তৃণমূল কংগ্রেসের।