সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় স্বাগত। তাঁদের বক্তব্যে ইতিবাচক নির্দেশ আছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ধর্ষণ, খুন নিয়ে রাজনীতি নয়। আশা করি এটা সবাই বুঝবেন। মামলা সুপ্রিম কোর্ট যেমন দেখছেন, তাঁরা দেখুন। আমরা রাজনীতি করতে চাই না, করব না। অন্যরাও মেনে চলুন।
চিকিৎসকদের সুপ্রিম কোর্ট কাজে যোগ দিতে বলেছেন। আমরাও বারবার অনুরোধ করেছি। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, নেবেও না। কিন্তু দিল্লি বা অনেক জায়গায় এফআইআর হয়েছিল। আমরা করিনি। তাছাড়া স্বাস্থ্যভবনে গতকাল যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সব ক’টি দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণ, খুন কারও হাতে নেই। সামাজিক ব্যাধি। আশা করি সবাই বুঝবেন। সকলকে এ-বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সচেতন করা দরকার। টিভি চ্যানেল, ইউটিউবে নানারকম অপরাধ দেখানোর কুপ্রভাব পড়ছে। বাচ্চাদের হাতেও মোবাইল, ছোট থেকে যা ইচ্ছে দেখছে। মানসিক অসুস্থতা আসছে। এখানেও আজ নতুন করে সমাজসংস্কার দরকার।
নবান্ন চলোয় যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টের কথাটা মনে রাখুন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্ট শুনানির সময় কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছেন। চাইতেই পারেন। তার ব্যাখ্যা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর এনিয়ে তাঁরা আর কিছু বলেননি।
বিষয়টায় মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। টিআরপি বাড়াতে লড়াই চলছে। যেন গৃহযুদ্ধ দেখাতে চায় একাংশের মিডিয়া। তারাও তথ্য ও যুক্তিনিষ্ঠভাবে ভেবে দেখুক।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে বন্যার জন্য দায়ী নয় ভারত, জানাল বিদেশমন্ত্রক