বিস্ফোরক অভিযোগ ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের তিন বিধায়কের গাড়িতে ৪৯ লক্ষ নগদ ও সোনা উদ্ধারের ঘটনায়। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলতে ১০ কোটি টাকা ডিল হয় তিন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে। উদ্ধার হওয়া ৪৯ লক্ষ টাকা হল টোকেন মানি। এই অভিযোগ আরও মান্যতা পেল রাঁচির আরগৌরা থানায় লেখা ঝাড়খণ্ডেরই বার্মোর বিধায়ক অনুপ সিংয়ের (Anup Singh) চিঠিতে। সেখানেই এই ডিলের কথা ফাঁস করেন তিনি। একই সঙ্গে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মাই (Himant Biswasharma) এই টাকা দিয়েছেন বলে চিঠিতে দাবি অনুপের। এই বিষয় নিয়ে পদ্ম শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
চিঠিতে রয়েছে, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম (JMM) এবং কংগ্রেসের জোট সরকারকে ফেলে দিতে ছক করছে বিজেপি। তারই শিকার হয়েছেন এই কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাজেশ কাচ্ছাপ এবং নমন বিকশল কোঙ্গারি। তাঁদেরকে আগে ডাকা হয়েছিল গুয়াহাটিতে। সেখানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে বৈঠক হয়। অনুপ সিং নিজেও সেই বৈঠকে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সেখানে প্রত্যেক বিধায়ক পিছু ১০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এমনকী, পছন্দ মতো মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু এই ধরনের অসাংবিধানিক কাজে থাকতে না চেয়ে সরে এসেছিলেন তিনি।
অনুপ সিং লেখা চিঠি অনুসারে, শনিবারই কলকাতায় এই নিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ছিল। সিআইডি প্রতারণা ৪২০, কমন ইন্টেশন ৩৪ বি, সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ১২০বি রয়েছে। চিঠিতে অনুপের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন যাঁরা টোকেন মানি-সহ ধরা পড়েছেন এবং তাঁকে গুয়াহাটি যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের এই চিঠি প্রকাশ হতেই ফের বিজেপি-বিরোধী রাজ্য সরকার ফেলে দেওয়ার গেরুয়া শিবিরের ষড়যন্ত্র সামনে এলো। আর তা নিয়েই বিজেপি-র বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঝাড়খণ্ড বিধায়কদের ধরা পড়ার ২৪ ঘণ্টা আগে একটা বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু একটা অপারেশনে আছে নাগপুরে। তারপরই এই বিধায়করা ধরা পড়লেন। তাহলে ধরে নেওয়াই যায়, এই অপারেশনেই আছেন শুভেন্দু। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিআইডি- দাবি কুণালের। কেন অসমে গিয়েছিলেন ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ক? এর সঙ্গে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সম্পর্ক কী? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেখানে গিয়ে তদন্ত করার দাবি জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।