প্রতিবেদন : শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, উন্নয়ন থেকে শত যোজন দূরে থেকে স্রেফ আত্মপ্রচারের কাজেই রাজকোষের ভূরি ভূরি অর্থ ও সময় ব্যয় করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আত্মপ্রচারের পিছনে ধর্মের গিমিক। অথচ দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, বেড়েছে দুর্নীতি, দেশ জুড়ে অনুন্নয়নের ছোঁয়া, বেকারত্ব, হিংসা, নারী নির্যাতনের মতো ভয়াবহ ঘটনা এখন রোজনামচা। কিন্তু সাধারণ মানুষ অর্থাৎ জনতার দাবি, তাঁদের মনের কথা, সমস্যার কথা শুনছে না মোদি সরকার। সোশ্যাাল মিডিয়ায় এবার এই ঘটনাগুলি তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তারই পোশাকি নাম ‘জন কি বাত’ (Jan Ki Baat)! যেখানে জনতা নিজে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন- তীর্থক্ষেত্রের উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকা
তৃণমূলের তরফে ‘জন কি বাত’ (Jan Ki Baat) নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিও বানানো হয়েছে। যেখানে নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠস্বর নকল করেই বলা হচ্ছে, ‘মন কি বাত অনেক হয়েছে, এবার হবে ‘জন কি বাত’! দলের এক্স হ্যান্ডেলে আরও লেখা হয়েছে, ‘গত ১০ বছর ধরে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনেক মনের কথা শুনেছি, অনেক মনের কথা জেনেছি! আর নয়! এবার সত্যিটা সামনে আনার সময় হয়ে গিয়েছে! মানুষের কথা বলার সময় এসে গিয়েছে!’
কেন্দ্রের অপদার্থতা তুলে ধরে ‘জন কি বাত’-এ প্রথম পর্বে মোদি জমানার ২০১৪ থেকে ২০২৪— এই ১০ বছরে দেশের বেকারত্বর হাল তুলে ধরা হয়েছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছোট্ট ভিডিও দিয়ে দেখানো হয়েছে, ২০১৪ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১০ বছরে ২০ কোটি চাকরি হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা জুমলা ছিল।
ভারতে লক্ষ লক্ষ বেকার বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের ভিত্তিহীন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের শিকার। যুবক, নারী, গ্রামীণ ভারতকে বেকারত্বের দানব গ্রাস করেছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪, নরেন্দ্র মোদি জমানায় লাফিয়ে বেড়েছে বেকারত্ব। অনেক যুবক-যুবতী কাজ হারিয়ে হতাশায় ভুগছেন। বর্তমানে দেশে ২৫ বছরের কম বয়সি ৪২ শতাংশ শিক্ষিত বেকার। যা ভুটান, বাংলাদেশ, পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কাট-আউটের সঙ্গে আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।