প্রতিবেদন : গদ্দারের চক্রান্ত ফাঁস। একেই বলে চোরের মায়ের বড় গলা। একেবারে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে গদ্দারকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের স্পষ্ট কথা, লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেসব অভিযোগ করেছে তা কাল্পনিক-ভিত্তিহীন। এই মনগড়া অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজ্যবাসীর অভাব-অভিযোগ শোনা ও তার দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা করেছে। সরকারের পোর্টালের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ২২ লক্ষ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এরপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আরও বেশি করে মানুষ যাতে এই অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ কলসেন্টার তৈরি হবে। সে-কারণে এই ধরনের কাজে দক্ষ পেশাদার এজেন্সি নিয়োগের জন্য যাথাযথ পদ্ধতি মেনে ই-টেন্ডার করা হয়। এর প্রোজেক্ট কস্ট ১৫২.৪৭ কোটি টাকা। চার বছরের জন্য প্রতি বছর ৩৮.১২ কোটি টাকার চুক্তি হয় একটি লো বিড করা সংস্থার (এমএস/ভিশন প্লাস সিকিউরিটি কন্ট্রোল লিমিটেড) সঙ্গে। প্রসঙ্গত, এতে ১১টি সংস্থা অংশ নিয়েছিল। পরিশেষে তিনটি সংস্থা নির্বাচিত হয় টেন্ডারে। এর মধ্যে থেকে সবচেয়ে লো বিড করা সংস্থাই দায়িত্ব পেয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকারি তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে বলেন, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে যা করার করা হয়েছে। দলবদলু-চোর-জোচ্চর-চিটিংবাজ লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা এত বড় বড় কথা বলছেন, অথচ সুদীপ্ত সেন আদালতে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন (কপি তুলে ধরে), কাঁথি পুরসভার কোষাগারে গদ্দার অধিকারী সারদার টাকা ঢুকিয়েছে। এটাও তো পিএমএল-এর আওতায় পড়ছে। তবে কেন ইডি-সিবিআই এর তদন্ত করবে না! নিজে চুরি করে টাকা নিয়ে বড় বড় কথা! এই চোর বিরোধী দলনেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। সাফ কথা কুণালের (Kunal Ghosh)। তাঁর সংযোজন, আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজে চুরি-জোচ্চুরি করবে আর ইডি-সিবিআই দেখাবে, ওসব চলবে না। প্রসঙ্গত, সরকারি নথি অনুযায়ী, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী চালু হয়েছে চলতি বছরের ৮ জুন। গত ৪২ দিনে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ যোগাযোগ করেছেন তাঁদের সমস্যা নিয়ে। এর মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে ৯৮টি অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। কুণালের কথায়, রাজ্যবাসীর কল্যাণে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাকে অযথা কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যাচার করছে গদ্দার। ঘৃণ্য রাজনীতি করছে। যার জেলে থাকার কথা সে স্বচ্ছতার পাঠ শেখাচ্ছে!
শুধু সারদা নয়, নারদাতেও ক্যামেরার সামনে সরাসরি টাকা নিতে দেখা গিয়েছে গদ্দারকে। জেল থেকে বাঁচতে অমিত শাহর জুতো পালিশ করছে। এর গোটা পরিবার বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। তৃণমূলে থাকাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, দলের তরফে একাধিক জেলার অবজারভার। সব ক্ষমতা ভোগ করে নির্লজ্জের মতো দল বদল করেছে। শুধু গদ্দার নয়, গদ্দারের পরিবারও একই পথ অনুসরণ করেছে।
আরও পড়ুন- অভিষেক-রুজিরার বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট