বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের (TMC)। তবে যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা যেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, সর্বদল বৈঠকে অনুরোধ জানান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বদল বৈঠকে তৃণমূল সাংসদের সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানায় কেন্দ্রের সরকারও, জানালেন সুদীপ। বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সবথেকে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া রাজ্য বাংলার উপরই প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ার আশঙ্কা কেন্দ্রের সরকারেরও।
বাংলাদেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে, সর্বদল বৈঠকে জানালেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীও।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন কৌশানীর নায়ক
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পরিস্থিতির উপরও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে ভারত, দাবি জয়শঙ্করের। হাসিনা সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পরে সেখানকার ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে কীভাবে প্রত্যুত্তর দেওয়া হচ্ছে তাও নজরদারির মধ্যে রাখছে ভারত, জানান জয়শঙ্কর।
মূলত বাংলাদেশের অশান্তির পরিস্থিতিতে ভারত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন জয়শঙ্কর। হিংসা-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা, অর্থনীতি, কূটনীতিক বিষয়গুলির প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেওয়া হবে, তাও দেশের গুরুত্বপূর্ণ দলগুলিকে জানান বিদেশমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আলোচনা হয় পদত্যাগী বাংলাদেশ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও। বিদেশমন্ত্রী জানান শেখ হাসিনা দিল্লির আশ্রয়েই রয়েছেন। তাঁর বাংলাদেশ থেকে রওনা দেওয়া থেকে হিন্ডন সেনা ছাউনি পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় ভারতের পক্ষ থেকে। জয়শঙ্কর সর্বদল বৈঠকে জানান, ভারত শেখ হাসিনাকে আরও সময় দেবে। তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী করতে চান, তা জানাার অপেক্ষায় থাকবে ভারতের প্রশাসন।