প্রতিবেদন : ভোটের ময়দানে লড়ার ক্ষমতা নেই বিজেপির। তাই ব্যাকডোর দিয়ে বাংলায় ভিনরাজ্যের লোক ঢোকাচ্ছে বিজেপির দালালরা। আর অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণের নামে ভুয়ো ভোটার বাড়াতে চাইছে! এতে বিজেপির হয়ে ময়দানে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজেপির এই নোংরা চক্রান্ত ধরে ফেলেছে তৃণমূল-সহ বাংলার মানুষ। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দেখানো পথেই অনলাইনে ভোটারের নাম নথিভুক্তকরণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন শোভনদেব। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, পশ্চিমবঙ্গকে দিল্লি-হরিয়ানা করতে দেব না!
আরও পড়ুন-কৃষিকাজেও সৌরশক্তি-চালিত পাম্পের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ভুয়ো ভোটারের রাজনীতি ফাঁস করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) জানান, বাংলার প্রত্যেক বিধানসভায় ২০ থেকে ৩০ হাজার বাইরের লোকের নাম ঢোকাবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা আমরা ভেস্তে দেব। নেত্রীর সুরেই বৃহস্পতিবার মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এক-দু’দিনের মধ্যে মিটিং ডাকছি। নিজে কমিশনের দফতরে যাব। চিঠিও দেব। তথ্য যাচাই না করে একটি ভোটারের নামও সংযুক্ত হবে না! অনলাইন মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত হবে না! হলে আমরাও মানুষকে নিয়ে রাস্তায় নামব, বিক্ষোভ দেখাব! অনলাইন করলে হবে না। যাচাই করতে হবে, হিয়ারিং হবে, তবেই নাম উঠবে ভোটের তালিকায়।
আবার দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির ভুয়ো ভোটার কারচুপির খতিয়ান তুলে ধরে এদিন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিল্লিতে ভোটার তালিকায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। আট মাসে ৪ লক্ষ লোকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা গত ১৪ বছরে হয়নি! নয়াদিল্লি আসনে ২০ হাজার ভোট কমে গিয়েছে। কোথাও আবার বেড়েছে ৩০ হাজার। ৭০ আসনে সবমিলয়ে বাড়তি ৪-৪.৫ লক্ষ ভোটার যুক্ত হয়েছে। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যত কম বলা যায়, তত ভাল। গলা বিশ্রাম পাবে! দলনেত্রীর সতর্কীকরণের পরই ভুয়ো ভোটার নিয়ে সাবধান হয়েছে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তা নিয়ে জানিয়েছেন, গোটা দল সতর্ক হয়েছে। দলনেত্রী সতর্ক করেছেন। মানুষের ভোটে জিততে না পেরে বিজেপি ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু মানুষ সতর্ক। নেত্রী বলার পর গোটা দল সতর্ক থাকছে যাতে বহিরাগত কোনও ভোটার বাংলায় না ঢুকতে পারে।